নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৬ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 459 বার পঠিত
ঈদ কেনাকাটার সুবিধার্থে আগামী ১০ মে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দিলেও বন্ধ থাকবে দেশের সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানো এবং দোকান মালিক-কর্মচারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে অপর শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এবারের ঈদে মলটি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে।
যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদবাজারে শপিংমলে ভিড়ে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই ঈদকে ঘিরে শপিংমল না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে। সবদিক বিবেচনা করে মার্কেটের দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যমুনা গ্রুপ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে যমুনা গ্রুপ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে যমুনা গ্রুপ। এ ছাড়া সশস্ত্রবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কয়েক ধাপে সুরক্ষা সরঞ্জাম দেয় যমুনা গ্রুপ।
এই প্রসঙ্গে যমুনা ফিউচার পার্কের পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস এন্ড অপারেশনস ) ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলম বলেন বলেন, “যমুনা গ্রুপের কাছে দেশ আগে, জীবন আগে, ব্যবসা পরে। তাই কোটি কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের পর এখন শপিং মল নিজেরাই বন্ধ রেখে আয়ের পথে তালা দিয়েছি দেশের মানুষের ভালবাসার তাগিদেই। বাঁচতে হলে আপনারা সবাই নিজ নিজ বাসায় থাকুন। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলুন এবং সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সুরক্ষা প্রস্তুতি সত্ত্বেও করোনা মহামারী সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ায় হাজারো মানুষের সংক্রমণ ও মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যমুন ফিউচার পার্কের কর্ণধার মোঃ নুরুল ইসলাম যমুনা ফিউচার পার্ক আপাতত না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আল্লাহর রহমতে আমরা এই ভয়াবহ বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারব এবং করোনা পরিস্থিতির উন্মতি হলেই যমুনা ফিউচার পার্ক সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে।”
উল্লেখ, দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের চাপে গত ৪ মে সরকার ঈদের আগে সীমিতভাবে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ৫ মে এগুলো খোলা যাবে বলে জানানো হয়। পরে নতুন প্রজ্ঞাপনে শপিংমল খোলার তারিখ পিছিয়ে ১০ মে নির্ধারণ করা হয়। সেইসঙ্গে দেওয়া হয় ৪টি শর্ত।
এদিকে গত তিন দিনে দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। এমন অবস্থায় দোকান খোলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সারাদেশে। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে করোনাভাইরাস মোকাবেলা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেও আশংকা প্রকাশ করেন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও দোকান খোলার বিষয়টি সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
Posted ৮:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৬ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan