সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য লালন-পালন হয় : প্রধানমন্ত্রী

বিবিএনিউজ.নেট   |   বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   400 বার পঠিত

ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য লালন-পালন হয় : প্রধানমন্ত্রী

ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য বিমোচনের পরিবর্তে এটির লালন-পালন হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত উন্নয়ন মেলা ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় দেখেছি, কেউ কেউ ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে খুব বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, ক্ষুদ্রঋণের ফলাফল যেটা, একসময় আমরাও এটাকে সমর্থন দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এর ফলে বোধহয় মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পারবে। কিন্তু, যখন আমরা বিষয়টা আরও গভীরভাবে দেখলাম, দেখা গেলো আসলে এর মাধ্যমে ঠিক দারিদ্র্য বিমোচন হয় না, দারিদ্র্য লালনপালন হয়।

ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণ- এটা স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। যদিও আমাদের দেশে কেউ কেউ ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা সেজে বিশ্বে ভালো নাম-টামও করে ফেলেছেন। দেখা যায়, হয়তো নিজে নাম কামিয়েছেন, কিন্তু দেশের মানুষ ততটা সুফল পেতে পারেনি। এটা হলো বাস্তব।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্রঋণ জাতির পিতা যখন শুরু করেছিলেন, তখন বিআরডিবির মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া শুরু করেন। মানুষকে কীভাবে সমবায়ের মাধ্যমে একত্রিত করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করে তাদের দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনবেন, সেই পরিকল্পনাটাই জাতির পিতা নিয়েছিলেন।

বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে এসেছে, বিভিন্ন এনজিওর ক্ষুদ্রঋণের চড়া সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদের বোঝা বইতে না পেরে নিঃস্ব হওয়া, এমনকি ভিটেমাটি, হাঁড়িপাতিল বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে অনেককে। একারণে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এর জন্য সরকারও নামমাত্র সার্ভিস চার্জে বিভিন্ন সহযোগিতা দিচ্ছে।

সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের একটি উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গৃহায়ণ তহবিল নামে একটা তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংকে তৈরি করেছিলাম। আমরা এনজিওদের মাত্র এক শতাংশ সার্ভিস চার্জে টাকা দিতাম। তারা ঘর তৈরি করে দেবে, সেই সঙ্গে একটা স্যানিটারি ল্যাট্রিনও তৈরি করে দেবে। এখন বোধহয় দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। কিন্তু, এনজিওগুলো যাদের টাকা দেবে, তাদের কাছ থেকে পাঁচ শতাংশের বেশি সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না।

‘আপনারা জানেন, এনজিওগুলো যখন টাকা ঋণ দেয়, সে ঋণের সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে এমনভাবে বাড়তে থাকে, কখনো কখনো ৪০ ভাগ, ৪৭ ভাগ ঋণ তাদের সুদ দিতে হয়। মানুষ যখন আর দিতে পারে না, তখন একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। সেই জিনিসটা যাতে না হয়, তার জন্য এই গৃহায়ণ তহবিল থেকে আমরা দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে এ বছর পিকেএসএফ-এর আজীবন সম্মাননা পান সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

শুরুতে পিকেএসএফ জাগরণের গান পরিবেশন করা হয়।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11397 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।