নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 416 বার পঠিত
৫০ লাখ হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেয়া হবে।
সরকারের তালিকা অনুযায়ী সুবিধাভোগীর পরিচয় যাচাই করে অর্থ প্রদান করতে হবে। যাদের মোবাইল অ্যাকাউন্ট নেই তাদের নতুন হিসাব খোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন সেবার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। নির্দেশনার চিঠি এমএফএস সেবা প্রদানকারী সব ব্যাংক ও তাদের প্রোভাইডার এবং ডাক অধিদফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারি জনিত পরিস্থিতিতে সরকার ৫০ লক্ষ দুস্থ পরিবারের জন্য নগদ সহায়তা সরাসরি সুবিধাভোগীর মোবাইল হিসাবে প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতকরণে এমএফএস সেবা প্রদানকারী সকল ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহ কর্তক নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তক প্রদত্ত সুবিধাভোগীর তালিকা মোতাবেক জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) যাচাইপূর্বক এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নগদ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এমএফএস প্রোভাইডারকে নির্দেশনা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হতদরিদ্র ও কর্মহীন ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সরাসরি নগদ অর্থ পাঠিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে মে এবং জুন-এই দুই মাস ৫০ লাখ পরিবার আড়াই হাজার টাকা করে পাঁচ হাজার করে টাকা পাবে। এ কাজে সহযোগিতা করছে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সেবাদানকারী চার প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো: বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবা ‘নগদ’, ব্রাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং ‘বিকাশ’, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ।
ইতোমধ্যে এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেয়া হবে।
উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।
Posted ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan