নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 395 বার পঠিত
২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ তহবিলের আওতায় ঋণের জন্য আবেদনের সময় । করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ তহবিল থেকে ঋণের জন্য ২ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এর আগে ২০ এপ্রিল ঋণ আবেদনের শেষ সময় ছিল। পরে দেশের তৈরি পোশাকের সবসংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-সহ বিভিন্ন শিল্প বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া বিশেষ তহবিল থেকে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কের টাইপ-বি (দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন) শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা যাবে। আগে এসব এলাকার শুধু টাইপ-সি (দেশীয় মালিকানাধীন) প্রতিষ্ঠানের জন্য এ সুযোগ ছিল।
আজ মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
দেশের কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাঠে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, আলোচ্য আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কের টাইপ-বি শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক- কর্মচারীদের বেতন/ভাতা প্রদান করা যাবে।
বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, সূত্রস্থ সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারে উল্লেখিত সচল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ঋণ আবেদনের সময় ২ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
২ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক তাদের ঋণের চাহিদা বাংলাদেশ ব্যাংকে আগামী ৩ মে’র মধ্যে পাঠাবে।
এর আগে সরকারের নির্দেশনায় ২ এপ্রিল করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সার্কুলারে বলা হয়, পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ থেকে ঋণ পাবে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান। ঋণের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। সুদবিহীন এ ঋণে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
নির্দেশনা বলা হয়েছিল, রফতানি বাণিজ্যের ওপর নভেল করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সচল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদানের উদ্দেশ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ হতে আর্থিক প্রণোদনা তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল হতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনা সুদে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক ঋণ/বিনিয়োগ হিসাবে অর্থ প্রদান করবে। কেবলমাত্র শ্রমিক-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ তিন মাস বেতন/ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারবে।
শুধুমাত্র সচল রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পাবে। যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রফতানি করে তারা রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে বিগত ডিসেম্বর ২০১৯, জানুয়ারী ২০২০ এবং ফেব্রুয়ারি ২০২০ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে তারা সচল শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে।
বেতনের অর্থ শ্রমিক-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে হবে। কোন প্রকার নগদ লেনদেন করা যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যাংক হিসাব নেই, তাদের মালিক নিজ উদ্যোগে ব্যাংক হিসাব খুলে দিবে। এসব হিসাবে কোনো চার্জ আরোপ করতে পারবে না।
ঋণ নেয়ার পর ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২ বছরে ১৮টি সমান কিস্তিতে ব্যাংককে সার্ভিস চার্জসহ ঋণ পরিশোধ করবে।ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না করলে প্রচলিত নিয়মে শ্রেণিকরণ করতে হবে এবং খেলাপি হিসেবে বকেয়া কিস্তির উপর ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে।
Posted ২:৩২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan