শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট

বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   400 বার পঠিত

বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে করোনা ভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে ১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আর্থিক সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮১ লাখ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১ কোটিতে উন্নীত করা হচ্ছে। আসছে বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। অর্থ ও সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা বিদ্যামান সুবিধাভোগীর সংখ্যার চেয়ে কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এই সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে। তবে এটা ২০ শতাংশের চেয়ে কম হবে না।

তিনি আরও বলেন, চলতি বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ৮১ লাখ মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন। আগামী অর্থবছরে আমরা যদি ২০ শতাংশ বাড়াতে পারি, তাহলে অতিরিক্ত ১৬ থেকে ১৭ লাখ দরিদ্র মানুষকে এর আওতায় আনা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে প্রায় এক কোটি দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই সুবিধার আওতায় চলে আসবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাধারণত প্রতিবছর সামাজিক সুরক্ষা খাতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ করে বাড়ানো হয়। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আগামী অর্থবছরের মেয়াদে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়বে বলে আসঙ্খা রয়েছে। তাই আসছে বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবার প্রথমবারের মতো ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। সে হিসাবে চলতি বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকাও করা হচ্ছে। তবে আসছে বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও বরাদ্দ বাড়লেও সুবিধার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে না। চলতি বাজেটে সুবিধাভোগীরা যে পরিমাণ সহায়তা পেতেন, আগামী অর্থবছরেও একই হারে পাবেন বলে জানা গেছে।

দেশের গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সব ধরনের সহায়তা করার ব্যবস্থাই হলো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রে ১৪টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮১ লাখ। আগামী বাজেটে ২০ শতাংশ বাড়ানো হলেও এই সংখ্যা আরো ১৬ লাখ ২০ হাজার বেড়ে যাবে। সে হিসাবে বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা হাতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা হবে ৯৭ লাখ ২০ হাজার জন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা করে সম্মানি ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়াও তারা উৎসব ভাতা ১০ হাজার, নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার এবং বিজয় দিবস ভাতা পাঁচ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

চলতি বাজেটে প্রায় ৪৪ লাখ লোক প্রতিমাসে ৫০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। আগামী বাজেটে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এছাড়াও ১৭ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগ্রহের শিকার নারী প্রতিমাসে ৫০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। আগামী বাজেটে এ খাতেও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে ১০ লাখ অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে প্রতিমাসে ৭০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আগামী বাজেটে এদের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। বিভিন্ন স্তরে এক লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বিভিন্ন হারে ভাতা পাচ্ছেন। আগামী বাজেটে এ সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারস গঠনের পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো বাজেট দিতে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও এটি দ্বিতীয় বাজেট। আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের কথা রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেটের সম্ভব্য আকার ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত হয়েছে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11390 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।