নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৭ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 333 বার পঠিত
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরোক্ষভাবে দেশের অধিকাংশ মানুষই এই খাতের সাথে যুক্ত থাকলেও ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে খাতটি উপেক্ষিত। শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮৬ শতাংশই এই খাতে, যা সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ পায় এই খাতের মাত্র ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের সুদহার কমার পাশাপাশি কমেছে আমানতের সুদহার। এতে ব্যাংকের আমানতেও টান পড়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনার ধাক্কা। এ ধাক্কায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়, ছোট, মাঝারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও, এসএমই ঋণের পরিচালন খরচ অনেক বেশি। তাই এই ঋণ বিতরণে আগ্রহ নেই ব্যাংকগুলোর। তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটাতে এসএমই ঋণ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশের এমএসএমই খাতে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ইউনিট রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ২৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। আবার শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮৬ শতাংশই এই খাতে, যা সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি। এই খাত মাসে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করে, মজুরি দেয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে এই খাতের মাত্র ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যাংকঋণ পায়।
উল্লেখ, গত ২২ জুন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে আশানুরূপ গতি নেই। তাই তদারকি জোরদার করার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া এই খাতের ঋণ বাড়াতে ঋণ নিশ্চয়তা কর্মসূচি (ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় গত মে পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাংক এই খাতে ২০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। ব্যাংক পাঁচটি হলো শাহজালাল ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও দি সিটি ব্যাংক। বর্তমানে দেশে এসএমই খাতে মোট ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এসএমই ঋণ নিতে পারেন।
Posted ৬:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan