বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 837 বার পঠিত
খেলাপি ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গিয়ে বেশিরভাগ ব্যাংকেরই মুনাফা কমে গেছে। তবে এর মধ্যেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) খাতে আগের বছরের চেয়ে বেশি ব্যয় করা হয়েছে।
২০১৮ সালে সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলো ৯০৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে এ খাতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছিল ৭৪৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর ব্যয়ের নীতিমালা অনুযায়ী জনকল্যাণমূলক বা দাতব্য উদ্দেশে ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা থেকে সিএসআর খাতে ব্যয় করতে পারবে কোনো ধরনের সীমা ছাড়াই। তবে এ ব্যয় জনকল্যাণে অংশগ্রহণমূলক হলেও আবার বাধ্যতামূলক নয়।
সিএসআর নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা খাতে ৩০ শতাংশের বেশি, স্বাস্থ্য খাতে ২০ শতাংশের বেশি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে ১০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিএসআর নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যাংকগুলো ২০১৮ সালে শিক্ষা খাতে ৩৮০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৪২ শতাংশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে ৩৩১ কোটি টাকা বা ৩৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ব্যয় করেছে ব্যাংকগুলো।
এদের মধ্যে আবার কিছু ব্যাংক সিএসআর খাতে অস্বাভাবিক ব্যয় করেছে।
২০১৮ সালের প্রথম নয় মাসে
তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে শূন্য দশমিক ৪১ টাকা। আগের বছর ২০১৭ সালে আয় ছিল শূন্য দশমিক ৬৪ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এবি ব্যাংক সিএসআর খাতে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ২০১৭ সালে ব্যাংকটি ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মুনাফা করলে সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করে অধিকাংশ ব্যাংক নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সিএসআরের অর্থ ব্যয় করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ২০১৮ সালে সিএসআর খাতে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এসব অর্থের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৫৭ শতাংশই ব্যয় করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে।
এ বিষয়ে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ মঈনুদ্দিন বলেন, করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে ব্যয় করলে ব্যাংকগুলো কর মওকুফ সুবিধা পায়।
অধিকাংশ ব্যাংকই সিএসআর খাতে তাদের অর্থ ব্যয় করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার কারণে সিএসআরের অর্থের অপব্যবহারের সুযোগ নেই।
নীতিমালা বা সীমা অতিক্রম করলে তো ব্যাংকগুলো কর মওকুফ সুবিধা পাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, এটি খুবই ভালো উদ্যোগ যে ব্যাংকগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে সিএসআরের অর্থ যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম আরও জোরদার করার দাবি জানান তিনি।
Posted ১২:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed