| রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 513 বার পঠিত
“তাদের জন্য প্রনোদনা চাই” যারা বীমা শিল্পের উন্নয়নে গত পাঁচ দশক মাঠে ঘাটে নিরলস কাজ করেছেন, আজ তারা অসহায় তাদের পাশে কেউ নেই,সামান্য কমিশন ছাড়া কোন আর্থীক অগ্রগতি নেই,মাসিক বেতন নেই,গ্রাচুইটি নেই,প্রফিডেন্ট ফান্ড নেই,পেনশন নেই,অঙ্গহানির সুবিধা নেই,দূর্ঘটনায় পতিত হলে এই মাঠ কর্মীদের কোন চিকিৎসা সুবিধা নেই,এমন কি কেউ মারা গেলে ও তার পরিবার কোন আর্থীক সুবিধা ও পায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে আজ সক্রীয় বীমা উন্নয়ন কর্মী ও কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ,এরা এই পেশায় দীর্ঘদিন চাকরি করেও চাকরী স্হায়ী করতে পাড়েনি, তাঁরাই এদেশে গড়ে তুলেছে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়ামের সম্পদ,যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে দেশে বড় বড় বীমা টাওয়ার গুলি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,২০১০ সাল হতে গত দশ বছর পাড় করেছে সরকারের নিয়ন্ত্রন সংস্থা (IDRA) কি দূর্ভাগ্য ১০ বছরেও বীমা নিয়ন্ত্রন অথরিটি ১০ লক্ষ বীমা উন্নয়ন কর্মীর ভাগ্য উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পাড়েনি,তাদের কর্ম প্রন্থা,বেতন কাঠামো,তাদের চাকুরী নিশ্চয়তা,পেনশন,অসুস্থ ভাতা,গ্রাচ্যুইটি,উৎসব ভাতা সহ কোন ধরনের সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা ঠিক করতে পাড়েনি।
আজ এই সব উন্নয়নশীল কর্মীরা তাদের অভাব,অসুবিধার কথা জানালে তাদের হরহামেশাই চাকুরী হারাতে হচ্ছে,আজ তাদের আর্তনাদ শুনার যেন কেউ নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,সম্পৃতি আপনি দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন, যারা এই শিল্পের মুল চাবিকাঠি যারা এই শিল্পের বিকাশ ঘটায়,দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যারা বীমার মশাল জ্বালিয়ে দেয় তাদের বাদ দিয়ে,তাদের বিছিন্ন করে এই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আজ গার্মেনস সেক্টরের পরে,বীমার মতো এত বিশাল কর্মী বাহিনী আর কোন সেক্টরে নেই,এরা সবাই সু-শিক্ষিত তাদের উপযুক্ত মুল্যায় করে দেশ গঠনে তাদের মেধাকে কাজে লাগান।
এরা গার্মনেস শ্রমিকদের মতো দাবী আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করতে পাড়ে না,তারা গার্মেনস শ্রমিকের মতো অফিসে তালা জুলিয়ে দাবী আদায় করতে পাডেনা ,আবার তারা ক্ষুদার্থ থাকলে ত্রানবাহী ট্রাকের পিছনে একটু ত্রানের আশায় দৌড়াতে পাড়েনা,চিকিৎসার অভাবে হসপিটালে মারা গেলেও কারো কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইতে পাড়েনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাদের কোন ট্রেড ইউনিয় নেই,কোন দাবী দাওয়া পেশ করার কোন প্লাটফর্ম তাদের নেই,দেশী – বিদেশী কোন সাহায্য সহযোগীতা কোন মহামারী দূর্যোগে কখনই তারা পায়নি।
অনেক অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন মাষ্টার রুলে,দীর্ঘদিন চাকুরী স্হায়ী হবার আশায় কাজ করে করে এখন অন্য কোথাও চাকুরী করার যোগত্যা হারিয়েছে ফেলেছেন,এখানেও তাদের চাকুরী স্হায়ী করা হচ্ছে না,কাজ করলে বেতন পায়,না করলে খাবার নাই,তাদের চাকুরী স্থায়ী করা দাবী জানাচ্ছি,
এই করোনা মহামারীতে আরো অনেক অফিস কর্মী চাকরী হারানোর ভয়ে আতংকিত হয়ে আছেন,তাদের চাকরীর নিশ্চয়তা চাইছি ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আজ এই বৈশিক ক্লান্তিকালে এই মানুষগুলির পাশে কেউ নেই আমি অনুরোধ জানাচ্ছি বীমা মালিক এসোসিয়েসন,বীমা ফোরাম,নিয়ন্ত্রন সংস্থা (ওউজঅ) সহ বীমা কোম্পানী গুলিকে একটি সচ্ছ তালিকা তৈরী করে এই বিপদে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর।
আমি আপনার কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,একটি সরকারী “বীমা কল্যান তহবিল” গঠন করে স্হায়ী ভাবে তাদের দু:খ দূর্দশা লাঘবে সরকারকে তাদের পাশে থাকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আমি আরো দাবী জানাচ্ছি এই দূর্যোগে আপনার কাছ থেকে আগামীকাল যে প্রোনদনা ঘোষনা নিয়ে সংবাদ সন্মেলন হবে তাতে যেন ১০ লাখ বীমা কর্মীর জন্য বিশেষ প্রনোদনার ব্যবস্থা করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আপনি মমতাময়ী সব বিষয়ে আপনি জ্ঞান রাখেন,এই দেশের অবহেলিত ১০ লাখ বীমা কর্মীর আসল চিত্র আপনাকে কখনো সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা হয়নি,আমরা সব সময় আপনার পাশে আছি,পাশে থাকবো,এই দূর্যোগে আপনার সহযোগীতা ও প্রনোদনা কামনা করছি ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এদেশে গড়ে উঠবে বিশাল বীমা শিল্পের প্রসার,যে মহান পেশায় কাজ শুরু করেছিলেন আপনার পিতা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,অনেক প্রত্যাশা নিয় ১০ লক্ষ বীমা পেশাজীবির পক্ষে আকুল আবেদন করছি,এই মহামারীতে আপনি মা হয়ে আমাদের পাশে থাকার,আবেদন করছি আর্থিক প্রনোদনা দিয়ে আমাদের ১০ লক্ষ পরিবারের জীবন বাচানোর।
সকল বীমা পেশাজীবির পক্ষে
আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
বীমা কল্যান সোসাইটি বাংলাদেশ(বিকেএসবি)
সরকারী রেজি: নং এস-১৩২৩৭/২০১৯
Posted ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan