শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিলন্ডারিং একটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে বিঘ্নিত করে-এস এম জিয়াউল হক

  |   মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট   |   286 বার পঠিত

মানিলন্ডারিং একটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে বিঘ্নিত করে-এস এম জিয়াউল হক

একটি দেশের অথনৈতিক অবকাঠামো নির্ভর করে তার অর্থের সঠিক যোগান ও কার্যপোযোগী ব্যবহারের উপর। অর্থের নানামুখী অপব্যবহারের ফলে দেশের সার্বিক উন্নতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় এবং পুরো সমাজব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সাধারণত চোরাচালান, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, কর ফাঁকি ইত্যাদি অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। চোরাচালানের ফলে রাজস্ব আয় হ্রাস পায় এবং জনসাধারণ এই পথে আকৃষ্ট হলে দেশের অর্থনীতিতে কালোটাকার প্রভাব পড়ে। ফলে জনজীবন, সমাজব্যবস্থা তথা একটি দেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিঘ্নিত হয়। অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম তথা অবৈধ সম্পদ বা করফাঁকি ইত্যাদি সমাজবিরোধী অপকর্মের মাধ্যমে কোন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি যাতে কালোটাকা সাদা করার প্রয়াস না পায় সেই লক্ষে উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশ সরকারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর ফলশ্রুতিই হচ্ছে মানিলন্ডারিং কর্মসূচি।

মানিলন্ডারিং বা অর্থশোধন :
মানিলন্ডারিং বা অর্থশোধন হলো এমন একটি অবৈধ অর্র্র্থনৈতিক কার্যক্রম, যার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে সেই সম্পদের আংশিক বা পূর্ণ অংশ রূপান্তর বা এমন কোনো বৈধ জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়, যাতে সেই বিনিয়োগকৃত সম্পদ থেকে অর্জিত আয় বৈধ বলে মনে হয়, এটাই মানিলন্ডারিং বা অর্থশোধন।

সহজভাবে বললে সাধারণত এক খাতের টাকা অন্য খাতে নিয়ে সেই টাকা আবার আরেক খাতে নিতে নিতে বিষয়টি এমন দাঁড়ায় যে অর্থের মূল উৎস খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। ফলে আইনী কাঠামোর আওতায় অনেক সময় অবৈধ উৎসটি খুঁজে পাওয়াই সম্ভব হয় না।

মানিলন্ডারিং এর উৎস :
বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, একটি রাষ্ট্র কাঠামোর আওতায় অবস্থান করে বিভিন্ন বেআইনি পন্থা অবলম্বন করে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ টাকা উপার্জন করার ফলশ্রুতিতে উক্ত টাকা আইনি প্রক্রিয়ায় বৈধ করবার জন্য জনৈক ব্যক্তি-একটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে অধিক সংখ্যক লন্ড্রির দোকান দিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে বিভিন্ন আয় দেখিয়ে অবৈধ টাকা বৈধ করার প্রয়াস করছিলেন যা পরবর্তীতে সত্যতা পাওয়া যায়।

মানিলন্ডারিং এর উদ্দেশ্য :
প্রধানত: ২টি উপায়ে অর্থশোধন করা হয়ে থাকে।
প্রথমত: অবৈধ অর্থনৈতিক উৎসের মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপন করা।
দ্বিতীয়ত: বৈধ অর্থনৈতিক উৎস হতে অর্জিত আয় হলেও উপার্জিত আয়ের উপর আরোপিত আয়কর ফাঁকি দেওয়া।

মানিলন্ডারিং বা অর্থশোধন করার প্রক্রিয়া :

সাধারণত: ৩টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং বা অর্থশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।
সংযোজন (placement) : যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ড হতে উপার্জিত অর্থ প্রথমবারের মতো অর্থ ব্যবস্থার মূল স্রোতে প্রবেশ করানো হলো সংযোজন। উদাহরণস¦রূপ চোরাকারবারী, মাদক ব্যবসা, ঘুষ, চুরি ও ডাকাতি হতে অর্জিত অর্থ যখন একটি তফসিলি ব্যাংকে জমা করা হয় তখন উক্ত প্রক্রিয়াকে সংযোজন (Placemen) বলা হয়।

এছাড়াও অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জিত অর্থ দিয়ে স্থায়ী সম্পদ (জমি, বাড়ি ও গাড়ি) ক্রয় কিংবা শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রথমবারের মত প্রবেশ করানো হলে তাও সংযোজন প্রক্রিয়া বলে বিবেচিত হবে।

স্তরিকরণ (Layering) : এই স্তরে জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অবৈধ বা অনৈতিক পন্থায় অর্জিত আয় বিভিন্ন স্তরে পর্যায়ক্রমে সরানো হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় আয়ের উৎস সম্পূর্ণ গোপন করার চেষ্টা করা হয়। যেমন- একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাংক হিসাব হতে আরেকটি অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে চেক ইস্যু করে স্থানান্তর, চূড়ান্ত পণ্যের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য স্থানান্তরিত মূল্যের অধিক মূল্যে চালান এর মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার, ট্রাভেলার্স চেকে রূপান্তর ও একটি ব্যাংক হিসাব হতে অন্যান্য শাখায় বিভিন্ন নামে অর্থ জমা বা স্থানান্তর।

পুনর্বহাল (Restoration :
স্তরিকরণ সফলভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার পর অবৈধ অর্থ এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যাতে করে মনে হয় অর্থের উৎস বৈধ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- অবৈধ অর্থ দিয়ে ক্রয়কৃত জমি/ফ্ল্যাট ইত্যাদি ক্রয় করে পরবর্তীতে উক্ত জমি/ফ্ল্যাট বিক্রয় করে অর্জিত অর্থ, জীবন বীমা পলিসির আবেদন করে ঘন ঘন বাতিল করে বাতিলকৃত অর্থ চেকের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে পুনরায় পলিসি ক্রয় ইত্যাদি।

মানিলন্ডারিংয়ের প্রভাব :

মানিলন্ডারিংয়ের বিস্তার যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় যত বেশি বিদ্যমান থাকবে, সেই রাষ্ট্রব্যবস্থায় ততই অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা বিরাজমান থাকবে, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার কোনো কৌশলই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না। এতে করে সমাজে তথা রাষ্ট্রে কালোটাকা বেড়ে যাবে, যার প্রভাব বিভিন্ন দ্রব্য মূল্যের উপর পড়বে। এছাড়াও বিভিন্নমুখী অপরাধ বিস্তার লাভ করবে, যা রাষ্ট্রের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে ফেলবে। ঐ সমাজ ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা, দুর্ভিক্ষ, বেকারত্ব ও অসামাজিক কার্যক্রম এতটা বিস্তার লাভ করবে যে ঐ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব অনেক সময় হুমকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মানিলন্ডারিং আইনের প্রয়োগ :
মূলত ভারত ও বাংলাদেশে একই সাথে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ প্রণয়ন ও প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশে এই বিষয়ে সকল আইন বা অধ্যাদেশ রহিত করে ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২’ নামে নতুন একটি আইন পাশ করা হয়। এই আইনে ২৮টি সম্পৃক্ত অপরাধের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

অর্থ ও সম্পত্তি অর্জন বা স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে উল্লিখিত ২৮টি সম্পৃক্ত অপরাধ সংগঠন বা এর সাথে জড়িত কার্যক্রম মানিলন্ডারিং হিসাবে বিবেচিত হয়। এই আইনের সঠিক ও কার্যকর প্রয়োগের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ গঠন করা হয়।

এছাড়াও উক্ত আইনে অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যক্তির ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৪ বছর এবং সর্বাধিক ১২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের অনূর্ধ্ব দ্বিগুণ বা ২০ লাখ টাকা, যা অধিক অর্থদন্ড এবং উক্ত অপরাধী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করার সাজা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন :
২০১৫ সাল মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে-চতুর্থ অ্যান্টি মানিলন্ডারিংয়ের নির্দেশিকা প্রবর্তন করেছে। যা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অনুসরণ করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্র :
প্রতিরোধমূলক (নিয়ন্ত্রণকারী) ব্যবস্থা ও অপরাধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত ২টি ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে।

যুক্তরাজ্য :
৫টি আইন রয়েছে যুক্তরাজ্যে যা দিয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের মামলা পরিচালনা ও বিচারকার্য করা হয়:-
# সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০০
#সন্ত্রাস দমন; অপরাধ ও সুরক্ষা আইন ২০০১
# প্রডিড’স অব ক্রাইম অ্যাক্ট ২০০২
# গুরুতর সংগঠিত অপরাধ ও পুলিশ আইন ২০০৫
# নিষেধাজ্ঞা এবং অ্যান্টি মানিলন্ডারিং আইন ২০১৮

মূলত ১৯৭০ সালে ইউ এস কংগ্রেস এ ব্যাংক সিক্রেসি অ্যাক্ট (বিএসএ) পাশ করা হয়, যা পৃথিবীতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে প্রথম আইনি কাঠামো হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিএফআইইউ (BFIU-এর অধীনে অত্যধিক কার্যকরভাবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন পরিলক্ষিত হলে বিএফআইইউকে (BFIU) নির্ধারিত ছক এর মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বিএফআইইউ এর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানকে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে ব্যবহৃত অর্থায়ন ঝুঁকি মুক্ত রাখার জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও বিএফআইইউ কর্তৃক সময় সময় জারীকৃত নির্দেশবলী যথাযথভাবে পালন করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অব্যশই অনুসরণ করে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।

১. প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান এ একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিচালনা ইউনিট’ (Central Compliance Unit) গঠন করতে হয় যা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তত্ত্বাবধান করে থাকে। উক্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই হলো প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিচালনা কর্মকর্তা (CAMLCO) নামে পরিচিত, যার কমপক্ষে ১০ বৎসর বীমা প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, এর মধ্যে ৩ (তিন) বছর ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কর্মরত হতে হবে।

২.CAMLCO মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিধিবিধান ইঋওট এর নির্দেশনা অনুসরণ করে সব প্রতিষ্ঠানের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন।

৩. CAMLCO কে অবশ্যই এই বিষয়ে আন্তজার্তিক মানদন্ডসমূহের উপর সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

৪. কেন্দ্রীয় পরিচালনা ইউনিট শাখা/এজেন্সি/ইউনিট অফিসসমূহের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনাবলী জারি করবে।

৫. মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও বিএফআইইউ (BFIU)-এর নির্দেশনাবলী এবং বীমা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখা/এজেন্সি/ইউনিট অফিস সমুহের একজন করে উর্ধ্বতন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে শাখা/এজেন্সি/ইউনিট অফিস সমূহের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিচালনা কর্মকর্তা মনোনীত করবে, যাদের বীমা পেশায় কমপক্ষে ৩ (তিন) বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং এই আইন, বিধিমালা ও বিএফআইইউ এর নির্দেশনা বিষয়ে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।

৬. শাখা/এজেন্সি/ইউনিট অফিস সমূহের জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিচালনা কর্মকর্তা উক্ত অফিস সমূহের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে সভা আয়োজন করবে এবং উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা ও বিএফআইইউ এর নির্দেশনা সহজ ও সাবলিল ভাষায় উপস্থাপন করবে এবং নিম্নোক্ত কার্যক্রমগুলো নিয়মিত করে থাকবে:

# গ্রাহক পরিচিতি (KYC
# লেনদেন মনিটরিং (Transaction Monitoring)
# সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম চিহ্নিতকরণ ও (Suspicious Transaction)
# রেকর্ড সংরক্ষণ (Record Protection)

# প্রশিক্ষণ (Training)
৭. Customer এর মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন উৎস স্থল থেকে প্রাপ্ত তথ্য, উপাত্ত ও দলিলাদির ভিত্তিতে প্রাহকদের পরিচিতি যাচাইকরণ ও সনাক্তকরণের হিসাব এর লেনদেন নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়।

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে KYC ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা গ্রাহক ও বীমাকারীর সম্পর্ক স্থাপনে ও সম্পর্কের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে বিধায় এই খাতে মানিলন্ডারিং এখনো খুব একটা দৃশ্যমান হচ্ছে না, এছাড়া খাত সংশ্লিষ্ট সকলেই দেশ সমাজ তথা বীমা শিল্পের স্বার্থে এই বিষয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করে আসছে। আশা করি BFIU-এর নেতৃত্বে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রমের চলমান ধারা আরো ধারালো হবে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে আমরা সকলেই আরো কার্যকর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবো।

 

 

 

 

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:২৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।