বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 523 বার পঠিত
রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৩৬ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি-রফতানি) কার্ড প্রদান করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪৬ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা।
বুধবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নির্বাচিত সিআইপিদের কার্ড প্রদান করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তাদের এ কার্ড দেয়া হয়। ওই বছর ১৩৬ জন রফতানিকারক এবং পদাধিকারবলে ৪৬ জন ব্যবসায়ী নেতাসহ সবমিলিয়ে ১৮২ জনকে সিআইপি কার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
২০১৩ সালের সিআইপি নীতিমালা অনুসারে, ২০১৭ সালে মোট ২২টি পণ্যখাতের মধ্যে ১৭টি খাতের ব্যবসায়ীদের রফতানি কার্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং, ফার্মাসিউটিক্যালস, হস্তশিল্পজাত, প্লাস্টিকজাত পণ্য, ওভেন ও নিটওয়্যার পোশাক, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন রফতানির পণ্য।
দেশের রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ তিনজন সিআইপি কার্ড পেয়েছেন। অন্য দুইজন হলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের তথা আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রথীন্দ্র নাথ পাল (আর এন পাল) এবং প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইলিয়াছ মৃধা।
এর আগে ছয়বার সিআইপি মর্যাদা পান আহসান খান চৌধুরী। এ ছাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের শীর্ষ এ দুই কর্মকর্তাও এর আগে একাধিকবার ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচিত হন।
সরকারি এক গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা সচিবালয়ে প্রবেশে পাস, গাড়ির স্টিকার, জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। বিমান, সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। একই সঙ্গে, সিআইপিদের জন্য ব্যবসায় সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে ‘লেটার অব ইনট্রোডাকশন’ ইস্যু করবে। সিআইপিরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপি (রফতানি) কার্ডের আওতায় এক বছর ও পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
Posted ১১:২০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed