বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 589 বার পঠিত
পেঁয়াজ রফতানিতে মূল্য বাড়িয়েছে ভারত। বাংলাদেশে আসতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। মূল্যবৃদ্ধির এই খবরে দেশের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য প্রচুর বেড়ে গেছে। সংকট কাটাতে তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানিমূল্য (এমইপি) একলাফে টনপ্রতি ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। রফতানি নিরুৎসাহ করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত শুক্রবার এই আদেশ দেয় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা। এরই মধ্যে সেটি কার্যকর হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে গেছে।
নতুন দরের পেঁয়াজের ঋণপত্র খুলে স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। কিন্তু তার আগেই বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি শুরু হয়েছে পেঁয়াজ।
শুক্রবার ভারতের এই আদেশ জারি হওয়ার খবর প্রচারিত হয় শনিবার সকালে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল থেকে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। বিকেল নাগাদ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫ টাকা কেজিতে। অথচ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকায়।
একদিনে কেজিতে ২৫ টাকা বাড়তি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘দাম বাড়ার খবরে বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়। এতে যে যার মতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করে। দাম বেশি বললেও বাজারে কিন্তু ক্রেতা নেই।’ তিনি জানান, নতুন দামের ভারতীয় পেঁয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের আদা-রসুনের বড় আমদানিকারক ফরহাদ ট্রেডিংয়ের মালিক নুর হোসেন বলেন, ‘আমি প্রধানত আদা-রসুন আমদানি করি। কিন্তু বাজারে পেঁয়াজের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে বিকল্প দেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা সামাল দেওয়ার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে আমি তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজের দর নিয়েছি। সরকার উদ্যোগ নিলে সহায়তা করতে পারি।’
Posted ১:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed