বিবিএনিউজ.নেট | শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট | 420 বার পঠিত
ব্যাংক খাতের ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতির পাশাপাশি এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নির্দেশনা এবং বিধিমালা প্রয়োজন। এছাড়া ডিজিটাল স্বাক্ষর বা ই-স্বাক্ষর এখনও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি, যা ডিজিটালাইজেশনে বড় বাধা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘ডিজিটালাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংক অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংক খাতের ডকুমেন্টস ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি ব্যাংক খাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন।
পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক পরিচালনায় আইটি ক্ষেত্রে ভেন্ডরদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিএসিএইচ, বিএফটিএন, আরটিজিএস, ইন্টারনেট ব্যাংক, এনপিএসবি, এমএফএস- এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন ব্যাংক খাতে ঘটেছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন, ব্যয় কমানো, দক্ষ সেবা প্রদান, দ্রুত সেবা প্রদান, সুষ্ঠু সমন্বয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ব্যাংক খাতের ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ডিজিটালাইজেশনে কিছু ব্যাংক ভালো করছে আবার কিছু ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাংক খাতের ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী মেহমুদ হোসেন বলেন, ব্যাংক খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সামান্য বিনিয়োগ এবং ইচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে না উঠলে ভেন্ডরের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে এনবিআর এবং দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ডিজিটালাইজড হওয়া প্রয়োজন।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, একদিনে ব্যাংক খাতকে পেপারলেস করা সম্ভব নয়। তবে উদ্যোগ নিলে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএমের অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ, বিআইবিএমের প্রভাষক ফয়সাল হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের অপারেশনস বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ টি এম নেসারুল হক।
আরো পড়ুন : সোনালী ব্যাংক ও গ্রামীণফোনের মধ্যে চুক্তি
Posted ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed