নিজস্ব প্রতিবেদক: | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 623 বার পঠিত
করোনার প্রাদুর্ভাবে কারখানা বন্ধ হলেও শ্রমিকরা যেন বেতন পায়, এমন নির্দেশনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই নির্দেশনা অমান্য করে এখনও ৮১৭টি কারখানা শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন দেয়নি। কারখানাগুলো আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা ও ময়মনসিংহ অবস্থিত। গতকাল (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত অপরিশোধিত ছিল।
শিল্প পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেতন-ভাতা অপরিশোধিত থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে ৩২ শতাংশ বা ২৬৩টি কারখানা পোশাক শিল্পের।
ছয় শিল্প এলাকায় মোট কারখানা আছে ৭ হাজার ৭০০টি। এর মধ্যে পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএ সদস্য কারখানা ১ হাজার ৯১৫টি। পোশাক শিল্প মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএ সদস্য কারখানা ১ হাজার ১০১টি। পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের সংগঠন বিটিএমএ সদস্য কারখানা ৩৮৯টি। বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (বেপজা) কারখানা ৩৬৪টি। এছাড়া অন্যান্য খাতের কারখানা আছে ৩ হাজার ৯৩১টি।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত শিল্প পুলিশের হিসাবে দেখা যায়, বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ১৫৭ কারখানা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ হয়নি। আবার বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত ১০৬ কারখানার শ্রমিকদের বেতনও অপরিশোধিত ছিল গতকাল পর্যন্ত। এ হিসাবে শুধু গার্মেন্টস খাতের ২৬৩ কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ হয়নি।
এদিকে এ শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতের বিটিএমএ সদস্য ৩১ কারখানার বেতনও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অপরিশোধিত ছিল। এছাড়া বেপজার আওতায় থাকা ১৪ কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও পরিশোধ করা হয়নি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাননি অন্যান্য খাতের ৫০৯টি কারখানার শ্রমিকরাও।
উল্লেখ্য, ছয় শিল্প এলাকায় বস্ত্র-পোশাক শিল্পের কারখানা ছাড়াও আছে ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, রি-রোলিং, কেমিক্যাল, মোবাইল শিল্প সংযোজনসহ বিভিন্ন খাতের শিল্প-কারখানা।
Posted ১২:৪৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy