নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৭ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 351 বার পঠিত
দেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচাতে মওকুফ করা হতে পারে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর এভিয়েশন চার্জ (অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল উভয়ই)।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের জন্য কিছু এভিয়েশন চার্জ মওকুফসহ প্রাথমিকভাব কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশের এয়ারলাইন্সগুলোকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত কোনো অ্যারোনটিক্যাল চার্জ দিতে হবে না। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চার্জ ৫০% চার্জ মওকুফ করা হয়েছে।
অ্যারোনটিক্যাল চার্জগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানের ল্যান্ডিং চার্জ, রুট নেভিগেশন সার্ভিস চার্জ, বোর্ডিং ব্রিজ ব্যবহারের চার্জ, এম্বারকেশন ইত্যাদি।
এয়ারপোর্টে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জও (গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং, চেক-ইন কাউন্টার ভাড়া, কার পার্কিং, এভিয়েশন ক্যাটারিং সার্ভিস) ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে অ্যারোনটিক্যাল চার্জের ওপর ১৫% ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘আমরা একটা বৈঠক করেছি। সেখানে কিছু সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা বেবিচকের কাছে তথ্য চেয়েছি যে, আমাদের বিমানগুলো বিদেশি যেসব বিমানবন্দরে যাচ্ছে তারা কেমন ছাড় দিচ্ছে। এসব তথ্য পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চীন ছাড়া আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে সব যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে প্রায় দুই মাস ধরে। আপাতত ৩১ মে’র ফ্লাইট চালুর কথা থাকলেও আ-দৌ চালু হবে কি-না, এ বিষয়েও সংশয় কাটেনি। বন্ধ রয়েছে চীনের একটি রুট বাদে দেশের চার এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের সব ফ্লাইট।
Posted ৩:৫২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan