শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামীণফোনের উপর আরোপ হতে যাচ্ছে বিটিআরসির নানা বিধিনিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০৭ জুন ২০২০   |   প্রিন্ট   |   421 বার পঠিত

গ্রামীণফোনের উপর আরোপ হতে যাচ্ছে বিটিআরসির নানা বিধিনিষেধ

সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে গ্রামীণফোনের উপর আরোপ হতে যাচ্ছে নানা বিটিআরসির বিধিনিষেধ। এসএমপি গাইডলাইন মেনে চলার জন্য চলতি সপ্তাহেই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এসএমপি গাইডলাইন প্রণয়নের প্রায় ১৬ মাস পর এটি বাস্তবায়নে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে এটি বাস্তবায়ন এবং গ্রামীণফোনকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ,মোবাইলফোন অপারেটরদের মধ্যে একচেটিয়া ব্যবসা (গড়হড়ঢ়ড়ষু)নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিটিআরসি এসএমপি গাইডলাইন প্রণয়ন করে। গাইডলাইন অনুসারে, কোনো অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট মোবাইল গ্রাহের ৪০ শতাংশ বা তার বেশি হলেই সেটিকে এসএমপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ওই সীমার ১৪ শতাংশ বেসিস পয়েন্ট বেশি। অর্থাৎ গ্রামীনফোনের গ্রাহকের সংখ্যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৫৪ শতাংম।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএমপি গাইডলাইন কার্যকর ঘোষণা করে তা মেনে চলার জন্য পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় বাজারমূলধনসম্পন্ন কোম্পানি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল বিটিআরসি। গ্রামীণফোন এই চিঠিকে অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করে। যদিও ওই রিটটি খারিজ হয়ে যায়,তবু নানা কারণে এতদিন এসএমপি বাস্তবায়নে দ্বিথীয় দফা উদ্যোগ নেয়নি বিটিআরসি।

এসএমপি গাইডলাইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় কার্যক্রম ঠিক করে দিতে পারবে।বর্তমানে নতুন প্যাকেজসহ অনেক অফারের জন্য বিটিআরসির অনুমোদন প্রয়োজন হয় না,কোম্পানি নিজে থেকেই তা নিতে পারে।কিন্তু এসএমপি গাইডলাইন কার্যকরের পর এসবের জন্য বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া পালন করতে হবে আরও কিছু শর্ত।

এসএমপি গাইডলাইন অনেকটাই অপারেটরের হাতপা বেঁধে দেওয়ার সামিল। স্বাধীনভাবে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে না পারলে কোম্পানির মুনাফায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জানা গেছে,কোনো অপারেটর এসএমপি হিসেবে চিহ্নিত হলে সেটিকে তিনটি শর্ত পরিপালন করতে হবে।

প্রথমত:অন্য অপারেটরের সঙ্গে বেশি হারে রেভেনিউ শেয়ার করতে হবে। ধরা যাক, কোনো রবি,বাংলালিংক বা টেলিটকের গ্রাহক যদি গ্রামীণ নাম্বারে ফোন করলে গ্রামীণফোনকে ৫ পয়সা দিতে হয়। এখন গ্রামীণফোনের কোনো গ্রাহক যদি ওই তিন অপারেটরের কোনোটির নাম্বারে ফোন করে তাহলে সেটিকে ১০ পয়সা দিতে হবে গ্রামীনফোনের।

দ্বিতীয়তঃ মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটির ক্ষেত্রেও গ্রামীণফোনকে বাড়তি চাপ নিতে হবে।যেমন কোনো রবি,বাংলালিংক বা টেলিটকের গ্রাহক যদি অপারেটর বদলে গ্রামীণফোনে যায়,তাহলে ৬০ দিন পরেই চাইলে আগের অপারেটরে ফিরে আসতে পারবে।কিন্তু গ্রামীনফোনের কোনো গ্রাহক অপন্য অপারেটরে গিয়ে ফিরে আসতে চাইলে লাগবে কমপক্ষে ৯০ দিন।

তৃতীয়তঃ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও ব্যবসার প্রমোশনে গ্রামীণফোনকে সীমাবদ্ধতা মেনে চলতে হবে।নতুন কোনো অফার, প্যাকেজ, কল রেট কমানোর সিদ্ধান্ত ইত্যাদির জন্য বিটিআরসির কাছ আগাম অনুমতি নিতে হবে। এমনকি নতুন বিজ্ঞাপন বা ক্যাম্পেইনও চালানো যাবে না বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ জুন ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11342 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।