নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 352 বার পঠিত
অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়ার পর এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় খালেদসহ তার তিন সহযোগীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। চাঁদাবাজিসহ অবৈধ নানা উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অবৈধ এ অর্থে তিনি দেশে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন। অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচারে তাকে সহযোগিতা করেছেন সিঙ্গাপুরের নাগরিক আইয়ুব রহমান, আবু ইউনুস ও দীন মজুমদার।
বিদেশে খালেদের অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির অনুসন্ধানে। অর্গানাইজ ক্রাইমের পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম হোসেন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করার অভিপ্রায়ে আইয়ুব রহমানের সহযোগিতায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেন খালেদ। ২০১৮ সালের মে মাসে মালয়েশিয়ার মাইব্যাংক ও আরএইচবি ব্যাংকের কেএলসিসি শাখায় চারটি হিসাব খোলেন খালেদ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবগুলোতে সর্বমোট স্থিতির পরিমাণ ২৫ লাখ ৫৭ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
মালয়েশিয়ার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরেও অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছেন খালেদ। সেখানে অর্পণ ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে ২০১৭ সালে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান খোলেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইউনাইটেড ওভারসিস ব্যাংকের সিঙ্গাপুর শাখায় খোলা হিসাবে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতির পরিমাণ ৫ লাখ ৫ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার। প্রতিষ্ঠানের অন্য শেয়ারহোল্ডার সিঙ্গাপুরের নাগরিক আবু ইউসুফ ও আইয়ুব রহমানের সহযোগিতায় হুন্ডির মাধ্যমে এ অর্থ ওই দেশে পাচার করেছেন খালেদ।
শুধু মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরেই নয়, থাইল্যান্ডেও অর্থ পাচার করেছেন খালেদ। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া নামে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকে হিসাব খুলে ১০ লাখ থাই বাথ জমা করেন তিনি। এ টাকাও আইয়ুব রহমানের সহযোগিতায় হুন্ডির মাধ্যমে সেদেশে পাচার করেন খালেদ। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খালেদ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে ৭০ বার ভ্রমণ করেন।
অবৈধ টাকায় খালেদের গড়ে তোলা সম্পদের হিসাবও উঠে এসেছে সিআইডির অনুসন্ধানে। সেখানে বলা হয়েছে অবৈধ আয়ের অর্থ দিয়ে নিজ নামে রাজধানীতে তিনটি ফ্ল্যাট কিনেছেন খালেদ।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, অনুসন্ধানে খালেদের অবৈধ আয়ের তথ্য মিলেছে। পাশাপাশি অবৈধ এ আয়ের অর্থ তিনি হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার তথ্যপ্রমাণও আমাদের হাতে আসার পর তিনিসহ তার সহযোগীদের আসামি করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দেয়া হয়েছে।
Posted ১:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan