প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে দেশে অর্থনীতিতে চরম মন্দাভাব চলছে। এই মহামারীর মধ্যেও সময়োপযোগী চিন্তাধারার মাধ্যমে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স তাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ।

আজ (১৪ আগস্ট) ডিজিটাল প্লাটর্ফমে কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি একথা জানান।

সাঈদ আহমেদ বলেন, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দাভাব ও বীমা ব্যবসায় তীব্র প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লি. এর প্রিমিয়াম আয় ১২.৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৬.৬৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। স্থায়ী আমানত ৩৮.৭৯শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৫৫ কোটি টাকায়। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২০১৯ সালের তুলনায় ৮.৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৬.২৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বীমা শিল্পকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কিছু সময়োপযোগী ও সুদূরপ্রসারী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার সুফল এবং ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দেশের বীমা শিল্পে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, সিনিয়র কনস্যালট্যান্ট, সকল শাখা ব্যবস্থাপক ও উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ সকল কর্মচারীবৃন্দের নিরলস পরিশ্রম ও প্রাণপাত চেষ্টার ফলশ্রুতিতে আমাদের কোম্পানি আজকে এই শক্তিশালী ও সুদৃর অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এজিএমে পর্ষদের ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

এছাড়া এজিএমে আরো ছয়টি আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে

১. পরিচালকদের রিপোর্ট, কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতি এবং ১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত বছরের জন্য নিরীক্ষকদের রিপোর্ট।

২. পরিচালক সমিতির সুপারিশ অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা।

৩. কোম্পানির অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধ অনুসারে পরিচালক নির্বাচন করা।

৪. ২০২১ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ এবং তাদের পারিশ্রমিক ঠিক করা।

৫. ২০২১ সালের কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স অডিটের জন্য অডিটর নিয়োগ এবং তাদের পারিশ্রমিক ঠিক করা।

৬. কোম্পানির চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে অন্য কোন ব্যবসায় লেনদেন করা।

এজিএমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত রেজা, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম,পরিচালক হারুনুর রসিদ, সচিব ওমর ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী।