বিবিএ নিউজ.নেট | শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 217 বার পঠিত
পোশাক খাত দেশের জন্য গৌরব এনে দিচ্ছে মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক শিল্প বিশ্বব্যাপী ‘মেইড ইন বাংলাদেশ ট্রেড’ মার্ক বহন করছে, দেশের পোশাক শিল্প বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এতে আমরা গর্বিত।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও এসটেক্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সাসটেইনিবিলিটি অব দি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ : পলিসিস, স্কোপস অ্যান্ড কনস্ট্রেইন্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, এ শিল্পটি দেশের সব মানুষের। তাই এ শিল্পের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং এ দেশের জনগণের উন্নতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরবর্তী ধাপ ব্যাপকভাবে নির্ভর করবে শিল্প খাতের ওপর, যেখানে পোশাক শিল্প মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ শিল্পটি রক্ষা করা দেশের সব মানুষের দায়িত্ব।
এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসইতা অর্জনে পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোতে নীতি সহায়তার ঘাটতি, প্রয়োজনীয়তা ও প্রতিবন্ধকতার ওপর আলোকপাত করা এবং নতুন সুযোগগুলো খুঁজে বের করার জন্য নীতি নির্ধারক এবং খাত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা।
বিজিএমইএ সভাপতি তার বক্তব্যে সাপ্লাই চেইনকে টেকসই করার জন্য মূল্যের ক্ষেত্রে আরও বেশি যৌক্তিক হওয়ার জন্য ব্রান্ড ও রিটেইলারদের আহ্বান জানিয়েছেন।
টেকসই উন্নয়ন এবং মূল্যের মেকানিজমের মধ্যে বিশাল সংযোগহীনতা লক্ষণীয়। আমাদের কারখানাগুলো শিল্পকে নিরাপদ ও টেকসই করতে ক্রমবর্ধমানভাবে বিনিয়োগ করছেন। অন্যদিকে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ইয়ার্ন, কেমিক্যালস ও অন্যান্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক উৎপাদনকারীদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। অথচ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। উৎপাদন ব্যয় ও মূল্যের মধ্যকার এ ঘাটতি দূর করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথোরিটির (বেজা) জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান আরিফ, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান, বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রুপ ডিরেক্টর সৈয়দ নাভেদ হুসেইন, এসটেক্স ফাউন্ডেশনের ড. মহিদুস সামাদ খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগের দিন বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে ফারুক হাসান বলেন, পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন কি না শিল্পটি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে, ঠিক সেই সময়ে পোশাক শিল্পের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকার, উদ্যোক্তা আর শ্রমিক ভাই-বোনসহ সবার সমর্থন আর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
যদিও পোশাক শিল্প করোনার প্রভাব কাটিয়ে এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এরই মধ্যে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ইয়ার্ন, কেমিক্যালস ও অন্যান্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক উৎপাদনকারীদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। অথচ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। অধিকন্তু কিছু ইউরোপীয় দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রফতানিকারকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Posted ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy