নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট | 223 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল সোমবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আক্তার। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদন, নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত হিসাব গ্রহণ এবং ২০২২ সালের জন্য বর্তমান নিরীক্ষক কে এম আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টকে পুনঃনিয়োগ অনুমোদন করা হয়।
এ সময় সমাপ্ত বছরের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। এতে দেখা যায়, আলোচ্য বছরে কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম ও নিট প্রিমিয়াম ইনকাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ৪৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিট প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তবে সমাপ্ত বছরে প্রতিষ্ঠানটি অবলিখন মুনাফা অর্জনেও সাফল্য দেখিয়েছে। আলোচ্য ২০২১ সালে অবলিখন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
আবার মোট সম্পদ ও শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটির ক্ষেত্রেও আগের বছরের তুলনায় অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। আলোচ্য বছরে মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১৬০ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়, যা আগের বছর ছিল ১১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।
একবছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ও শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটি বেড়েছে যথাক্রমে ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া কোম্পানির বিনিয়োগ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আলোচ্য বছরে কোম্পানির বিনিয়োগ করেছে ৪০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা যা আগের বছর ছিলো ২৭ কোটি টাকা।
সমাপ্ত হিসাব বছরে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা। আলোচ্য বছরে কোম্পানি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যংশ অনুমোদন করে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
সভায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির প্রশংসাসহ কেউ কেউ কোম্পানির নানা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মতামত প্রকাশ করে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনায় যারা রয়েছে তাদের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব প্রত্যাশা করেন। এ সময় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী শাহ আলম বাবু তার লিখিত বক্তব্যে গ্রস প্রিমিয়াম, আন্ডাররাইটিং প্রফিট, ইপিএস, ইনভেস্টমেন্ট ও আদার ইনকাম ও সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ ব্যবস্থাপনায় যারা রয়েছে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এটা সঠিক খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা বা এর সুবিধা কিকি তা জানতে চান।
সভায় অন্যোন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন মেহমুদ, মো. আবু তাহের। পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন বিবি আমেনা, মো. হারুনুর রশিদ, হাজী মো. ইউসুফ, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, হাসিনা বেগম, হাসিনা পারভীন মনোয়ার, ফাইজা মেহমুদ। এছাড়া শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মোহাম্মদ নজিরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র পরিচালক মাহাবুবুল হক, তৌহিদউদ্দিন মো. জাহেদ, মোহাম্মদ সাইফ নোমান খান, সিএফও মো. মিজানুর রহমানসহ বিপুলসংখ্যাক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাসান খান।
Posted ৫:৪৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
bankbimaarthonity.com | Sajeed