| বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 694 বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৩২তম বারের মতো পিছিয়েছে। বুধবার প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিলের কথা ছিল তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। কিন্তু তদন্ত সংস্থাটি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ ধার্য করে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২১ মে দাখিল করতে বলেছেন আদালত। তবে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পাশাপাশি বিদেশে এ মামলার তদন্ত চলছে। দেশী অংশের তদন্তকাজ প্রায় শেষ। বিদেশী অংশে যেসব অপরাধীর তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এখনো ওইসব দেশ থেকে সরবরাহ করা হয়নি। এসব কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। চুরি হওয়া ওই অর্থ ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ঘুরে চলে যায় বেশ কয়েকটি দেশে। রিজার্ভের অর্থ চুরির প্রায় এক মাস পর ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্কালীন অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ধারা ও ৩৭৯ ধারায় ওই মামলা করা হয়।
সিআইডি সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের মধ্যে বড় একটি অংশ ফিলিপাইনের। এর মধ্যে রয়েছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন আরবিসিসি, ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি, অর্থ বহনের কাজে ব্যবহূত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ফিলরিমে মানি সার্ভিস লিমিটেড এবং ব্লু-বেরি অ্যান্ড হোটেলের একাধিক কর্মকর্তা।
Posted ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed