নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 361 বার পঠিত
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এমএ খালেক এবং তার ছেলে কোম্পানির সাবেক পরিচালক রুবায়াত খালেকের বিরুদ্ধে ফের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট লাইফের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত ১৪ আসামীর মধ্যে অন্যতম আসামী এমএ খালেক এবং তার ছেলে রুবায়াত খালেক।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) টানা পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর আদালতে পিতা ও পুত্রকে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে ওই আবেদন শুনানি শেষে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামী কোম্পানির সাবেক পরিচালক এমএ খালেক এবং তার ছেলে কোম্পানির সাবেক পরিচালক রুবায়াত খালেককে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই দিন আদালত তাদেরকে জেলগেটে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামী হলেন; সাবেক পরিচালক এমএ খালেকের ছেলে সাবেক পরিচালক শাহরিয়ার খালেদ, খালেকের মেয়ের জামাই সাবেক পরিচালক তানভিরুল হক, খালেকের শ্যালক সাবেক পরিচালক নূর মোহাম্মদ ডিকন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুল আমিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন, সাবেক চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. হেমায়েত উল্লাহ, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো. আলমগীর কবির, হিসাব বিভাগের প্রধান সাবেক এ এম ডি মো. কামরুল হাসান খান, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যাংকিং শাখার প্রধান শেখ আব্দুর রাজ্জাক, হেড অব ইন্টারনাল অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স সাবেক জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কামাল হোসেন হাওলাদার এবং ব্যাংকিং শাখার সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাকবুল এলাহী।
সূত্র মতে, ফারইস্ট লাইফের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন লুটপাটের ঘটনায় ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালকও নিয়োগ দেওয়া হয়।
Posted ৮:৪৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy