নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট | 373 বার পঠিত
গ্রাহক বারবার হয়রানির শিকার হলেও পাচ্ছেন না বীমা দাবীর টাকা। এতদিন সাধারণ মানুষ এসবের শিকার হলেও এবার দেশের প্রসিদ্ধ ইলেকট্রনিক্স পন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার, মাইওয়ান ও খান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির নাম এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এরই মাঝে বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএর কাছে চিঠি দিয়েছে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
চিঠিতে জানা যায়Ñগত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে উল্লিখিত তিন প্রতিষ্ঠানের একই উৎপাদনকারী কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এতে কোম্পানির শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্থবির হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ও বিপণনমূলক কর্মকান্ড। দূর্ঘটনার পরপরই বীমা কোম্পানিগুলো তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসার কথা থাকলেও সে দায়িত্ব পালন করেনি। ফলে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিয়ে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলা করে ফের উৎপাদন সচল করতে হয় কারখানাটিকে।
এদিকে প্রায় দেড় বছর অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির তার দাবী আদায় করতে পারেনি। ইতোমধ্যে লোন পরিশোধের শেষ সময়ও চলে এসেছে। ফলে আবারও অথৈ পাথারে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। চিঠিতে আরো জানা যায়, বীমা কোম্পানিগুলো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে প্রতিবেদন দেয়ার চূড়ান্ত সময় নির্ধারন হয় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর সার্ভেয়াররা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
এ বিষয়ে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ফখরুল ইসলাম জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেক আগে ঘটেছে। আমরা এখনও দাবীর টাকা পাইনি। এজন্য আইডিআরএকে অবহিত করতে চিঠি দিয়েছি।’ বীমা ধরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্কের আওতায় ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স প্রতিটি কোম্পানির সাথে আলাদাভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং প্রত্যেককে আলাদাভাবে প্রিমিয়াম দেয়া হয়েছে।’ সার্ভে রিপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেনÑ ‘আমরা চূড়ান্ত সার্ভে রিপোর্ট পেয়েছি, এ বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। তবে আমরা চাই দ্রুত আমাদের দাবী নিষ্পত্তি করা হোক। কেননা আমাদের ব্যাংক লোনের মেয়াদও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।’
Posted ৩:০৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy