নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 392 বার পঠিত
প্রতিষ্ঠার এক দশকে সাফল্যের গৌরবময় সব সূচকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এক দশকের এই পথ চলায় স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা আর উন্নত গ্রাহকসেবার কারণে সোনালী লাইফ পৌঁছে গেছে মানুষের আস্থার শীর্ষে। গোটা খাত যখন বীমার ইমেজ পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন, ‘সোনালী জীবন, সুখের জীবন’ এই স্লোগান ধারণ করে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত মানুষের ঘরে ঘরে বীমার ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সোনালী লাইফের কর্মীরা। শতভাগ তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক গ্রাহক সেবার কারণে সোনালী লাইফ হয়ে উঠেছে বীমায় ডিজিটালাইজেশনের আইকন। যথাসময়ে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ না করায় বীমাখাত যেখানে ইমেজ সংকটে ভুগছে, সোনালী লাইফের স্বচ্ছ কর্মকাণ্ড সেখানে বীমার প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এক দশকের পথ চলায় গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধে যথাসময়ের পর একদিনও দেরি করেনি সোনালী লাইফ। মৃত্যু দাবি, এসবি’র মতো দাবিগুলোও পরিশোধ করা হয় সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে।
২০২২ সালের ব্যবসা সমাপণীর অনিরিক্ষীত হিসাব অনুযায়ী, কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ৩৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। গত বছরের চেয়ে যা ১৭৫ কোটি টাকা বেশি। বছরটিতে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বৃদ্ধিতে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সোনালী লাইফ।
২০২২ সালে কোম্পানিটির গ্রুপ প্রিমিয়াম এসেছে ৩ কোটি ২৪ লাখ, নবায়ন বাবদ এসেছে ২৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নবায়নকৃত প্রিমিয়ামের হার ৮৭ ভাগ। বর্তমানে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ৫৭১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মোট সম্পদ হয়েছে ৭১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। সবচেয়ে আশার বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ বীমা কোম্পানি যখন ব্যবস্থাপনাখাতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত খরচ করে ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখানে নির্ধারিত সীমার চেয়েও ২০২২ সালে ৩৩ শতাংশ কম খরচ করেছে সোনালী লাইফ।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদে থেকে কোম্পানিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মীর রাশেদ বিন আমান। যার দিকনির্দেশনায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সোনালী লাইফের গ্রাহকসংখ্যা। ডিসেম্বরে কোম্পানিটির গ্রাহকসংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে চার লাখ। সারা দেশে কোম্পানিটি স্থাপন করেছে ১৬১টি শাখা কার্যালয়।
মীর রাশেদ বিন আমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও সংস্থাগুলোর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে সোনালী লাইফ। ফলে সোনালী লাইফের সাফল্যের মুকুটে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে রঙিন পালক। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে চারটি পুরস্কার।
সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ সামিটের (এসএপিএস) উদ্যোগে সাউথ এশিয়া বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২-এর চারটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এগুলো হলো-১. বেস্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ইন প্রাইভেট সেক্টর, ২. বেস্ট ইউজ অব আইটি অ্যান্ড টেকনোলজি ইন ইন্স্যুরেন্স সেক্টর, ৩. আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ং লিডারশিপ এক্সিলেন্স ইন ইন্স্যুরেন্স সেক্টর এবং ৪. বেস্ট ইউস অব মোবাইল টেকনোলজি ইন ইন্স্যুরেন্স সেক্টর।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান জানান, সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এখানে গ্রাহক ট্রাডিশনাল ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রিমিয়াম নিজেই জমা দিতে পারেন। সংগ্রহ করতে পারেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি ডকুমেন্টস।
ইচ্ছে করলেই অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে পলিসি হোল্ডার লগইনে গিয়ে দেখে আসতে পারেন নিজের হিসাব নিকাশ। সুতরাং প্রিমিয়ামের অর্থ বেহাত হওয়ার কোনো শঙ্কা থাকে না সোনালী গ্রাহকের। নবায়ন প্রিমিয়াম জমা হলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায় শুভেচ্ছা উপহার। পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে সুপার শপ, এমন ছয় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের ডিসকাউন্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন সোনালী লাইফের লয়ালিটি কার্ডধারী গ্রাহকরা।
চতুর্থ প্রজন্মের এই কোম্পানিটি বীমা খাতে এমন কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে-যা ইতিপূর্বে কেউ করেনি। ফলে স্বয়ং বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার (আইডিআরএ) পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অন্যান্য কোম্পানিকে বলা হয়েছে সোনালী লাইফের ডিজিটাল কার্যক্রমকে অনুসরণ করার।
মীর রাশেদ বিন আমান জানান, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স দেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর জীবন বীমা কোম্পানি। পরিচালনা পর্ষদের দূরদর্শী পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা পর্ষদের দক্ষতা ও পরিশ্রমে অতি অল্প সময়ে জীবন বীমা খাতের উল্লেখযোগ্য কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে সোনালী লাইফ।
Posted ১:৩৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy