বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 429 বার পঠিত
মুনাফা বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ সাধারণ বীমা কোম্পানির। তিন প্রান্তিক মিলে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ৭৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে। আগের বছর এ সময়ে ৬৬ শতাংশ কোম্পানির মুনাফা বাড়তে দেখা যায়। অর্থাৎ, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে আগের বছরের চেয়ে এ বছর ১২ শতাংশ কোম্পানির মুনাফা বাড়তে দেখা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাধারণ বীমা খাতে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সম্প্রতি এসব প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের ৯ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির ইপিএস বেড়েছে এবং আটটির কমেছে।
মুনাফার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস সর্বোচ্চ বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ বেড়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের। এ সময় সবচেয়ে কম এক শতাংশ ইপিএস বেড়েছে নর্দান ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস ৩৬ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৩২ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৩২ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৪ শতাংশ ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের মুনাফা বাড়তে দেখা যায় ২৩ শতাংশ।
মুনাফায় থাকা অন্যান্য বীমা কোম্পানির মধ্যে ২২ শতাংশ মুনাফা বাড়তে দেখা গেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ২১, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২০, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৯, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ১৮, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১৭, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১৬ ও জনতা ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ ইপিএস বেড়েছে।
অন্য কোম্পানির মধ্যে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১১ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৯ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের আট শতাংশ করে, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের সাত শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ছয় শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের চার শতাংশ এবং কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস বাড়ে তিন শতাংশ।
এদিকে আগের বছরের চেয়ে এ বছর ২২ শতাংশ বীমা প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমেছে। এ তালিকায় প্রথমে রয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ২৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস কমেছে ২৭ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস কমেছে তিন শতাংশ।
এদিকে অধিকাংশ কোম্পানি মুনাফায় থাকার কারণে সম্প্রতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এ খাত। বাড়ছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে কোম্পানিগুলো বছর শেষে এ মুনাফা ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, প্রান্তিক প্রতিবেদন দেখে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঠিক বিচার করা যায় না। বছর শেষে তারা যে মুনাফা করবে-সেটাই দেখার বিষয়।
বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন বীমা কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বছর শেষে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ভালো মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
এ বিষয়ে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম সাইদুর রহমান বলেন, আশা করছি বীমা কোম্পানিগুলো এ বছর ভালো মুনাফা করতে সক্ষম হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে একেকটি কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন কারণে মুনাফা করে। তবে এ ক্ষেত্রে মানেজমেন্ট বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া ব্যবসা ভালো হলে কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাড়ে।
Posted ৩:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed