বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট | 607 বার পঠিত
২০১৪ সালের সূচনালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহীর (সিইও) দায়িত্বে ছিলেন। এরই মধ্যে অতিক্রম করেছেন ৬টি বছর। কিন্তু এই দীর্ঘসময়েও প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে পারেননি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় পরিচালনা পর্ষদ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মালিকপক্ষকে চাপে ফেলতে প্রতারণার আশ্রয় নেন। বেতন বকেয়া রয়েছে এমন দাবি তোলেন কোম্পানির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকতা বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডলকে নিয়ে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটিতে সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অজিত চন্দ্র আইচ। যিনি চতুর্থ প্রজন্মের অপর বীমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে একই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১০ জুন থেকে যমুনা লাইফে নিয়মিত অফিস করার কথা রয়েছে তার।
তবে চলতি বছরের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির অনুষ্ঠিতব্য বোর্ড মিটিং থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এদিকে বিশ্বজিৎ মণ্ডল তার দাবিকৃত প্রায় ১৮ মাসের বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন পরিচালনা পর্ষদকে। অথচ পরিচালকদের পক্ষে জানা যায় সদ্য বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত দুই থেকে তিন বছর যাবৎ এজেন্ট, ইউনিট ম্যানেজার এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নিয়োগের লাইসেন্স ফি বাবদ সরকারি কোষাগারের প্রাপ্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বেও বিশ্বজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে নিয়ম-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সনদজাল করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। সে সময় বিশ্বজিৎ মণ্ডল সব জেনেও তাকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে চাকরিতে বহাল রাখেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মকর্তা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ওই সিইওর সাথে কথা বলতে তার অফিসে গেলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান। এরপর তার মোবাইলে কয়েকবার ফোন দেয়া এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি ফোন রিসিভ বা বার্তার উত্তর দেননি।
Posted ৪:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed