এস জেড ইসলাম | সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট | 465 বার পঠিত
দীর্ঘদিন থেকেই বীমা দাবী আদায় করতে পারছিলেন না পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বরগুনা অঞ্চলে গ্রাহকরা। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। পাশাপাশি বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর কাছেও অভিযোগ জানান। এর প্রেক্ষিতে মামলা দায়েরকারী গ্রাহকদের দাবী দ্রুত নিষ্পত্তিতে পদ্মা লাইফের এক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করে আইডিআরএ। কিন্তু এবার ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রাহকরা। দাবীর টাকা পেতে সে কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হচ্ছে জানিয়ে গ্রাহকরা চিঠি দেন আইডিআরএ’র কাছে।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, দাবী আদায়ে আদালতে মামলা করা বরগুনার গ্রাহকদের টাকা দ্রুত প্রদানে পদ্মা লাইফের জেনারেল ম্যানেজার ইমরান মাতবরকে নির্দেশ দেয় বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু নির্দেশ পেয়ে তা দায়িত্ব হিসেবে না নিয়ে বরং অর্থ কামানোর হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেন ম্যানেজার ইমরান। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার গ্রাহকদের দাবীর চেক প্রদানে তিনি প্রতি হাজারে একশ থেকে দেড়শ টাকা ঘুষ নিচ্ছেন।
মূলত বরগুনা অঞ্চলে পদ্মা লাইফের কোন অফিস না থাকায় ওই কর্মকর্তা এ সুযোগ পাচ্ছেন। গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব পেয়ে তা নিজের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছেন- এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তারা জানান, ‘দাবীর বিপরীতে হেডঅফিস থেকে ব্যাংক চেক ইস্যু হলেও ইমরানের চাহিদা মতো টাকা না দিলে চেক পাওয়া যায় না।’ গ্রাহকদের সন্দেহ ইস্যুকৃত চেক ওই কর্মকর্তা কৌশলে আটকে রাখছেন বা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে বিলিকৃত চেকের সাথে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য অনুসন্ধান করলেই প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তারা।
এদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে আইডিআরএর প্রতি আহবান জানিয়েছেন গ্রাহকরা। অন্যথায় বিষয়টি আবারো দুর্নীতি দমন কমিশনের দফতরে প্রেরণের পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক গণমাধ্যমে প্রকাশের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে আইডিআরএর নির্দেশনা মোতাবেক নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেনি কোম্পানি। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে গ্রাহক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। তাছাড়া উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অন্তরায় হিসেবেই এটি বিবেচিত হচ্ছে। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
এ বিষয়ে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম শরিফুল ইসলামকে ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভি না করলে মোবাইলে মেসেজ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আবার ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আমি সদ্যই এ কোম্পানিতে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তিনি এ বিষয়ে কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোর্শেদ আলম সিদ্দিকীর সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন। কিন্তু মোর্শেদ আলম সিদ্দিকীকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ পাঠালেও তিনি কোন সাড়া দেননি।
Posted ১:২৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy