বিবিএ নিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট | 371 বার পঠিত
ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ সম্পর্কে জানানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। তিনি বলেন, বাবা-মা ছোট বয়সে যা শিক্ষা দেয় তা মানুষের মনে গেঁথে থাকে। এটা সহজে যায় না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিআইএ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা গতকাল বুধবার বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহীরা এতে অংশ নেন।
বর্তমান বাল্য শিক্ষার সিলেবাসের সমালোচনা করে শেখ কবির হোসেন বলেন, আমরা বাল্য শিক্ষায় পড়েছি- সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। কিন্তু এখন কি এ কথাটি পড়ায় আছে? এটা তো এখন নাই। তাহলে আমরা ভালো হবো কোথা থেকে।
হলি আর্টিজান হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েই সে টেরোরিজম শিখল…তা না। শেখা কিন্তু ছোট বেলা থেকেই শিখে। ছোট বেলায় যেটা শেখে সেটা কিন্তু থাকে। আপনারা সবাই বাচ্চাদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শেখাবেন তাহলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো ভালো করে জানবে।
বাঙালির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা সম্পর্কে শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বরে থাকতেন। এখন যেমন ৩২ নম্বরের দুই পাশে কাটাতার দিয়ে বেড়া দেয়া, বন্ধ করা ওইরকম ছিল না। তিনি যখন বেড় হয়ে যেতেন ওনার সাথে দুইখান গাড়ি, তিনখান গাড়ি এস এস এফ ছিল না। আর্মিও ছিল না। দুইখান একখান আর্মির গাড়ি হয়তো আর পুলিশের গাড়ি। এই নিয়ে উনি চলে যেতেন অফিসে। আবার ফিরে আসতেন।
উনি যখন বের হতেন টিনের একটা গেট, গেটের সামনে লোকজন দাঁড়ানো থাকতো। লোকজন সালাম দিতো উনি আবার কাউকে কাউকে ডেকে কাছে এনে গ্লাস নামিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতেন তারপর কথাবার্তা বলতেন। আবার যাতায়াতের সময় বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো। মাঝে মধ্যে তিনি গাড়ি থামিয়ে তাদের ডেকে কথা বলতেন। আবার কোন কোন সময় গাড়ির পেছনে উঠিয়ে নিতেন।
শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর তার নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের বলতেন, আমার নিরাপত্তা তোরা দিবি, আমার নিরাপত্তা এদেশের বাঙালিরাই দেবে। বাঙালি কোন সময় আমাকে মারবে না। তোরা দেখিস বিদেশি কেউ এদেশে আসে কিনা এটা খেয়াল করিস। বাঙালিরা আমাকে মারবে না। তারা এ দেশীয়। তবে ভয় লাগে তোদেরকে যে আমার সামনে মারবে এইটাই আমার খুব কষ্ট লাগে।
বাঙালিদের ভালো বাসতে গিয়ে তিনি জীবনটাও দিয়ে গেছেন। শেষ রক্তবিন্দুও দিছেন বাঙালির জন্য। একা না তার ছেলেদেরকে নিয়ে, তার স্ত্রী বঙ্গমাতাকে নিয়ে তিনি চলে গেছেন। মেয়ে দুইটা ছিল না বলে বেঁচে গেছে তারা। এই সবই আল্লাহর ইচ্ছা, যদিও আল্লাহ তাকে মহান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু না আসলে, না থাকলে এ বাংলাদেশ হয়তো স্বাধীন হতো না।
বিআইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনারা তার আদর্শকে ধারণ করেন এবং তার আদর্শকে স্টাবলিস্ট করেন। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। সেটা যে যে ক্ষেত্রেই আছেন সেই ক্ষেত্র থেকেই তার আদর্শকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে পথে চলছেন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সেখানে তিনি সফল হবেন। অলরেডি সফলতার এক চরম পর্যায়ে চলে গেছেন, বাকিটাও উনি সফল হবেন। তার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস বেড়ে গেছে। আপনারা আল্লাহর অস্তে আপনাদের অফিসের প্রত্যেকে বলবেন যেন স্বাস্থ্যবিধি যেনো মেনে চলে। এটা আমার অনুরোধ থাকল, প্রত্যেকটা কোম্পানির এমডি এবং চেয়রম্যান প্রত্যেকের কাছেই এ অনুরোধ থাকল।
Posted ২:৪৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy