বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

বাংলাদেশের মোটর ইন্স্যুরেন্স ও মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সভ্যতার দায়বদ্ধতা

এ কে এম মনিরুল হক   |   মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট   |   646 বার পঠিত

বাংলাদেশের মোটর ইন্স্যুরেন্স ও মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সভ্যতার দায়বদ্ধতা

সাম্প্রতিককালের মোটর ইন্স্যুরেন্স নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলেই উদ্যোগ নিয়েছেন যা ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে আশার আলো দেখা দিচ্ছে। তাই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট যারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কেননা ২০১৮ সালে মোটর ইন্স্যুরেন্স থার্ডপার্টি বাতিল সংক্রান্ত যে আইনটি পাস হলো এবং তার আগে যে আলাপ আলোচনা হচ্ছিল সে বিষয়ে বীমা সংশ্লিষ্টদের আলাপ-আলোচনা বা বাদ-প্রতিবাদ তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না বা এ বিষয়ে খুব একটা দেন-দরবার হয়েছে বীমা সংশ্লিষ্টদের কর্তৃক তারও যুৎসই প্রমান নেই। ফলে আইনটি পাশ আর পরবর্তীতে প্রয়োগ যখন শুরু হলো আর ইন্স্যুরেন্স মার্কেটে নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পরলো তখনই বীমা সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে উঠলো। বিশেষ করে যখন বিআরটিএ ঘোষণা দিলো যে গাড়ির মালিককে ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক নয়। আর যখন মোটর ইন্স্যুরেন্স পলিসি না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আর জরিমানা করা হচ্ছে না ফলে অধিকাংশ গাড়ির মালিক তাদের গাড়ির বীমা করছে না, তখন মোটর প্রিমিয়াম খাতে বিশাল অঙ্কের আয়ে ঘাটতি দেখা দিলো, ফলে অনেক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শাখা অফিসসমূহের আয় ব্যাপকহারে কমে গিয়ে শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম, তখন সংশ্লিষ্ট সকলে একটু নড়েচড়ে বসলেন বলে মনে হয়। আর তা ছাড়া ২০২০-২১ বা ২০২১-২২ সালে সরকারের এক্সচেকারও মোটর ইন্স্যুরেন্সর আয় থেকে উপার্জিত ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং হবে যদি না মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যখন কথিত আইনটি পাস হলো মোটর মালিক সমিতি আর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর উদ্যোগে আর চাপে, তখন কিন্তু এই খাতের স্টেকহোল্ডারদের একটি প্রধান অংশ হিসেবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন। তখন যদি তা করা হতো তবে মনে হয় এই পরিস্থিতির উদ্ভব নাও হতে পারত বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই ধারণা করেন। কেননা মাথা ব্যথা বলে মাথা না কেটে বিকল্প একটি ব্যবস্থা বের করতে পারতো মোটর ইন্স্যুরেন্সেরই আওতায় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) বীমাশিল্পের একমাত্র এপেক্সবডি হিসেবে।

শুধু বাংলাদেশ না, পৃথিবীর অনেক দেশ বিশেষ করে অনুন্নত থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশগুলোতে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক না করলে কেউ করতে চায় না। তাই কর্তৃপক্ষ দেশকে সভ্যতার মানদন্ডে নেয়ার জন্য কিছুকিছু ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্সকে বাধ্যতামূলক করতে বাধ্য হয়। তেমনি বাংলাদেশসহ আমাদের আশপাশের সার্কভুক্ত দেশ ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা ভুটান নেপাল অর্থাৎ এই উপমহাদেশের দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপ এমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক, অন্ততপক্ষে মোটর থার্ডপার্টি ইন্স্যুরেন্স ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে না।

সভ্য সমাজের অনেকগুলো মানদণ্ডের একটি ও প্রধান মানদণ্ড হচ্ছে দায়বদ্ধতা (Liability)। নিজের এবং অন্যের প্রতি দায়বদ্ধতা। যে দেশের জনগণ ও সমাজের দায়বদ্ধতা বেশি সেই দেশ তত সুসভ্য। আর এই দায়বদ্ধতা পালনকে সহজিকরণে লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সের উদ্ভব হয়েছে আধুনিক অর্থনীতি চালনায়। তাই প্রথমে আমাদের এই মর্মে একমত হতে হবে যে নিজেকে সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে দাবিদার হতে হলে, রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতাকে এড়াতে পারি না, বিশেষ করে গাড়ি চালাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ আর তৃতীয় পক্ষের সম্পদের হেফাজতকে মাথায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে। তাই গাড়ির যে কোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তÍ মানুষ বা সম্পদের ক্ষতিপূরণ গাড়ির মালিককে বহন করতে হবে। আর গাড়ির মালিক এই ক্ষতি আধুনিক অর্থনীতির মেকানিজম ইন্স্যুরেন্স দ্বারা তা পুরণ করবেন! সেই কারণে রাস্তায় গাড়ি নামাতে বা চালাতে হলে মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে। এখন বাংলাদেশের আর্থ্যসামাজিক প্রেক্ষাপটে মোটর কম্প্রেহেন্সিভ ইন্স্যুরেন্স করতে না পারলেও অন্ততপক্ষে মোটর লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলককে আবার পুনঃসংযোজন করা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। আর বাংলাদেশে কোনো মোটর দুর্ঘটনার পর সবচেয়ে যে পক্ষের বেশি সম্পৃক্ততা তারা হচ্ছেন থার্ডপার্টি। মানে আমজনতা। তারা গাড়ি ভাঙচুর করবে কিন্তু নিজেদের হিস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তাই এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দুর্ঘটনার পর যাত্রী বা রাস্তার লোকেদের ক্ষতিপূরণ। মৃত্যুজনিত বা চিকিৎসাজড়িত খরচ, আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্তÍ সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির ব্যাপারে যদি জানা থাকে তবে আস্তে আস্তে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা কমে যাবে। যার দরুন পালাতে গিয়ে ড্রাইভার আরো এক্সিডেন্ট করে বসে। তাই লায়াবিলিটি মোটর ইন্স্যুরেন্সর প্রতি বেশি জোর দিতে হবে বা বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

যদি রাস্তায় অথবা অন্য যে কোনো স্থানে মোটর চালিত যানবাহন/ পণ্যবাহন নিয়ে যান (মালিক অথবা ড্রাইভার অথবা দু’টোই), তাহলে সম্ভাব্য দুটো ‘দায়’ (লায়াবিলিটি) থাকবে। কোনো দুর্ঘটনায় যানবাহন/ পণ্যবাহন পতিত হলেই মালিক বা ড্রাইভার হিসেবে একক অথবা যৌথ ভাবে ক্রিমিনাল, সিভিল অথবা এই দু’টোতেই লায়াবল হতে পারে। দুর্ঘটনায় পতিত যানবাহন অথবা পণ্যবাহন অন্য মানুষের (যাত্রী, বাইরের সাধারণ মানুষ) প্রাণহানি বা অঙ্গহানি বা আহত করতে পারে।  তাছাড়া অন্যের সম্পত্তির (বাড়ি, গাড়ি, পণ্য) ক্ষতিসাধন করতে পারে।

আদালত সিভিল লায়াবিলিটি এর বিপরীতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি এর বিপরীতে জেল/ আর্থিক ক্ষতিপূরণ অথবা দু’টোর রায়ই দিতে পারে। ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। পক্ষান্তরে সিভিল লায়াবিলিটি থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য বীমার ব্যবস্থা আছে।

যানবাহনের মালিক/ অপারেটর হিসেবে না দেখে এর ব্যবহারকারী অথবা ভিক্টিম হিসেবে এই লায়াবিলিটি আর তার ক্ষতিপূরণের দিক আছে। যদি সচেতন মালিক অথবা অপারেটর হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা দায়িত্ব। সবার আগে এই দায়িত্ব সরকারের। সরকারকে দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা বা সহায়তা করার জনগণের দায়িত্ব। সাধারণ বীমা কোম্পানিসমুহ এর জন্য সোচ্চার না হলে এবং একটা আইনগত ফায়সালা না হলে প্রতিটা মানুষ, বিশেষ করে, রাস্তায় বের হওয়ার আগে নিজেকে মনে করিয়ে দেবেন, যে যদি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় অথবা আহত হয় বা সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তÍ হয় কারো দোষে তাহলে কারো দায় নাই বা দায় মিটানোর দায় নাই।
যানবাহন/ পণ্যবাহনের দুই ধরনের বীমাপত্র (পলিসি) বিক্রি হয়। একটা হলো শুধুমাত্র চালক, যাত্রী, রাস্তার বা বাইরের সাধারণ মানুষের জান আর মাল। একে বলা হয় থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স। দ্বিতীয় ধরনের বীমাপত্রকে কমপ্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স বলা হয়। এতে থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি এর সাথে সাথে আপনার যানবাহন/ পণ্যবাহনের ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা আছে। আপনি কমপ্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স কিনলে আর থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স আর কেনার দরকার নেই।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০ এর উপধারা ১, ২, ৩ মতে তৃতীয় পক্ষ বীমা বা থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কথাটা খুব সম্ভব ঠিক নয়। কেননা এই আইনের ধারা/ উপধারার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে অনেক বীমা বিশেষজ্ঞ মনে করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০, মোটরযানের ‘দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা এবং বীমা’ সংক্রান্ত। এই ধারাতে মোট ৪টি উপধারা আছে যা নিম্নরূপ:

(১) কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করিলে তাহার মালিকানাধীন যে কোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত তাহাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করিতে পারিবে।

(২) মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান উহার অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করিবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকিবে এবং বীমাকারী কর্তৃক উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।

(৩) মোটরযান দুর্ঘটনায় পতিত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্তÍ হইলে বা নষ্ট হইলে উক্ত মোটরযানের জন্য ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাইবে না।
(৪) বীমার শর্ত, বীমার দায়-দায়িত্বের সীমা, বীমার দেউলিয়াত্ব, বীমা-দাবী পরিশোধ, বিরোধ-নিষ্পত্তি, বীমা সনদের কার্যকারিতা ও উহা হস্তান্তর, এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

উপধারা ১ এবং ২ বীমাপত্র কেনা বাধ্যতামূলক কি না, যদি বাধ্যতামূলক হয় তাহলে কোন ধরনের বীমাপত্র কেনা বাধ্যতামূলক, আর বাধ্যতামূলক না হলে কোন ধরনের বীমাপত্র কেনা বাধ্যতামূলক না তা বলা আছে।

সম্প্রতি বিআরটিএ কর্তৃক জারিকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ইংরেজি তারিখের প্রজ্ঞাপনের চিঠিতে উপরোক্ত ৬০ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স কেনা বাধ্যতামূলক নয়। আর সেজন্য কারো থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স না থাকলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সুযোগ নেই। ফলে একটা যানবাহন বা পণ্যবাহন আপনাকে অথবা আপনার প্রোপার্টি দুমড়েমুচড়ে দিলে ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই। আগে তবুও মারা গেলে ২০ হাজার টাকা পাওয়া যেতো আর থার্ড পার্টির সম্পদের ক্ষতিতে ৫০ হাজার টাকা।

বিআরটিএ এই প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সচিব, পুলিশের আইজি, হাইওয়ে পুলিশের এআইজি সহ অনেককেই। অর্থাৎ রাস্তায় আপনাকে আর পুলিশ ইন্স্যুরেন্স এর জন্য হয়রানি/ মামলা করতে পারবে না।

উপধারা ১ এ বলা হয়েছে কোনো মোটরযানের মালিক ‘ইচ্ছা করিলে’ যতটা সিট সেই মোটরযানের যাত্রীর জন্য ‘নির্দিষ্ট করা’ (অর্থাৎ সিটিং ক্যাপাসিটি – ৬০ জন, ১০০ জন ইত্যাদি), তাহাদের ‘জীবন ও সম্পদের বীমা’ করিতে পারিবে।

এই ধারাটা অসম্পূর্ণ। এতে ‘যাত্রীর জান, মালের’ বীমা করাকে ‘বাধ্যতামূলক করা হয়নি’। মালিক যদি ‘ইচ্ছে করেন’ যাত্রীর জান, মালের বীমাপত্র নিতে পারেন। এই উপধারাকে রেফারেন্স টেনে বিআরটিএ তার প্রজ্ঞাপনে বলেছে ‘থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি’ ইন্স্যুরেন্স কেনা সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ মোতাবেক বাধ্যতামূলক না।

এই উপধারার অসম্পূর্ণতা হলো এতে শুধুমাত্র যাত্রীর জান, মালের বীমাপত্র নিয়ে বলা হয়েছে। থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স শুধুমাত্র যাত্রীর জান ও মালের বীমাপত্র না। এতে এই যাত্রীসহ বাইরের সাধারণ মানুষ (যেমন কোনো পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে বা চাকায় পিষে মেরে ফেলে) এবং তাদের সম্পত্তির (যেমন দোকান বা বাড়ী বা অন্য মোটরযান বা অন্য কোনো কিছু কে ধাক্কা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তÍ করে), তাও থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি এর আওতাভুক্ত। সুতরাং এই ধারা এককভাবে অসম্পূর্ণ।

উপধারা ২ তে বলা হয়েছে, মোটরযানের মালিক তার মোটরযানের যথানিয়মে বীমা করিবেন। যথানিয়ম বলতে কোন নিয়ম বা কী নিয়ম, তা পরিস্কার করে বলা হয়নি। এটা লিটারেল মিনিং ধরে বলা যায় এখানে বীমা করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখানে ইচ্ছার আর কোনো অপসান নেই, যা আছে উপধারা ১ এ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী বীমা করবে? এই উপধারায় বলা হচ্ছে মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকিবে। এটা পরিস্কার করেই বলা হচ্ছে কমপ্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স নিতে হবে। কমপ্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স নিলে থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সে” অটোমেটিক নেওয়া হয়ে গেলো। আর তখন উপধারা ১ এ দেওয়া আংশিক থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সে আর অপসানাল থাকে না।

সরকার বা অন্য কোনো অথরিটি কাউকে তার সম্পত্তির নিজস্ব ক্ষতির বীমা নিতে বাধ্য করার ক্ষমতা রাখে না (কিছু চুক্তিতে সম্পত্তি ইন্স্যুরেন্সে নেওয়ার শর্ত থাকে, তার ভিন্ন উদ্দেশ্য। এটা করা হয় যাতে কোনো দুর্ঘটনায় সম্পত্তির ক্ষতি হলে তা দ্রুত রিইন্সটেট করা যায় আর তাতে চুক্তির কাজ সম্পাদনে সময়ক্ষেপণ না হয়)। ইচ্ছে হলে যানবাহন বা সম্পত্তির বীমা নিবো, ইচ্ছে না হলে নিবো না। একজন বিলিয়নিয়ার, একটা গাড়ি এক্সিডেন্টে করে চ্যাপ্টা হয়ে গেলে সেটা ফেলে দিয়ে নতুন একটা কিনবে। তার বাড়ি আগুনে লেগে পুড়ে গেলে আরেকটা বানাবে। যার টাকা আছে। সরকার বা অন্য কেউ বাধ্য করার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু আমাকে থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সে নিতে বাধ্য করতে পারে সরকার বা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণ তাতে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট আছে।

এই উপধারা ২ এর উপরোক্ত ব্যাখ্যা থেকে বলা যায় থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স নেওয়া অপসানাল না। অপশানাল করতে হলে যাত্রীর জান আর মালের সাথে অন্য থার্ড-পার্টি ও তাদের সম্পত্তিকে উল্লেখ করতে হবে। সাথে সাথে উপধারা ২ কে পরিস্কার করতে হবে যথাযথ নিয়ম বলতে কোন নিয়মকে বলা হয়েছে। কমপ্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সে বাধ্যতামূলক কে পাল্টাতে হবে।
যদি উপধারা ১ অপসানাল না হয়, তাহলে বিআরটিএ এর আলোচ্য প্রজ্ঞাপনের ভিত্তি থাকে না আর তাদের তখন তার সংশোধনী দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

উপরন্তু সরকার, বিআরটিএ বা অন্য কোনো অথরিটি কি যানবাহনের বা পণ্যবাহনের সিভিল লায়াবিলিটি (লায়াবিলিটি আন্ডার টর্ট) রদ বা রহিত করতে পারেনা। যদি করে তবে ভিক্টিম এর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সোর্স কী তার প্রশ্ন থেকে যায়।

খুব সহজ ভাবে যদি আমরা সরলীকরণ করি উপরের উল্লেখিত কথাগুলোকে তা হলে বলতে হয়:
১. মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা

২. কম্প্রিহেন্সিভ মোটর ইন্স্যুরেন্স যদি বাধ্যতামূলক করা হয় তবে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে বিবেচনায় রেখে প্রিমিয়াম, কমপেনসেশন ও অন্যান্য বিষয়কে সামনে এনে তাদের ক্রয় ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি রুলস অব বিজনেসের নির্দেশনা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক।

৩. কম্প্রিহেন্সিভ মোটর ইন্স্যুরেন্সকে বাধ্যতামূলক না করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকে বিবেচনায় এনে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর আদলে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) প্রস্তাবিত নতুন পরিকল্প অর্থাৎ গMotor Liability Insurance কে বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। যেন মিনিমাম বীমা পলিসি নিয়ে মোটর মালিক তার দায়বদ্ধতাকে সামাল দিতে পারেন।

৪. আর বিআইএ কর্তৃক Motor Liability Insurance পরিকল্পটি বাধ্যতামূলক করতে হলে-
ক. বর্তমান প্রিমিয়ামের পরিমান বাড়াতে হবে
খ. বর্তমান ক্ষতিপূরণের অংক বাড়াতে হবে
গ. ক্ষতি বা দাবীপূরণের প্রক্রিয়াকে সহজিকরণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আদালতে স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করে ক্ষতিগ্রস্তÍদের যথাশীঘ্র ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ. নির্ধারিত লিমিটের পরও আদালতের ডিক্রির উপর প্রাধান্য দিয়ে ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে কেস টু কেস বেসিস।

বাংলাদেশের মোটরযান বীমা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করলেই এ বিষয়ে মানসিক দৈনতা সহজেই অনুমেয়। একজন প্রাইভেট কারের মালিকের মন্তব্য হলো একটা ইন্স্যুরেন্স নিতে হয়, তাই থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স নিয়ে থাকেন যা, না থাকলেও চলে- শুধু শুধু পয়সা নষ্ট। ড্রাইভারা আরো ভালো বলে- ইন্স্যুরেন্স এর প্রিমিয়াম ৩৬০ টাকা, ইন্স্যুরেন্স না থাকলে জরিমানা ১৫০০ টাকা। তাই ইন্স্যুরেন্স করা তা না হলে দরকার কী ইন্স্যুরেন্স নেয়ার। নিজ সমাজের ‘দায়’ সম্পর্কে কীরকম অবজ্ঞা থাকলে এমনই ভাবতে পারেন দেশের জনগণ।

চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের সড়ক দুর্ঘটনা নিহত হওয়ার মামলায় ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করে আদালত রায় দেন। ৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। গাড়ির মালিক এই ভদ্রলোক যদি এই রায় সম্পর্কে জানতেন, তাহলে না খেয়ে হলেও ইন্স্যুরেন্স কিনতেন। কাল যদি, আল্লাহ না করুক, এমন আরেক তারেক মাসুদ ওনার গাড়ির সাথে ধাক্কা খান তখন কী হবে? যদি ইন্স্যুরেন্স থাকে তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব কেননা আদালতের রায় বীমা কোম্পানি ও পুনঃবীমা কোম্পানি মানতে বাধ্য করতে আইন করা উচিত বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আবার সম্প্রতি বাংলাদেশে ফেরি দুঘর্টনায় যে যানবাহনের ক্ষতিহলো তাদের যদি সঠিক ভাবে মোটর ইন্স্যুরেন্স করা থাকতো তারা অব্যশই তার ক্ষতিপূরণ পেতে পারত. যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মালিক হায় হুতাশ করছে এমনকি অনেকে ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে নিজেকে অভিশম্পাত করেছে। এই পরিস্থিতি হয়েছে শুধু মাত্র মোটর ইন্স্যুরেন্স না থাকার ফলে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকলে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। পারস্পরিক দায়বদ্ধতাজনিত যে দায়-দায়িত্বের উদ্ভব হয়, তা লাগবের জন্য উৎপত্তি হয়েছে দায় বীমা (Liability Insurance)। রাস্তায় যানবাহন/ গাড়ি পরিচালনা করতে গিয়ে অনেকসময় নানাবিধ দুর্ঘটনায় পতিত হতে হয়। দুর্ঘটনা জনিত গাড়ির নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সাথে সাথে তৃতীয় পক্ষের জানমালেরও ক্ষতি সংঘটিত হয়ে থাকে, যা ব্যক্তি পর্যায় থেকে জাতীয় অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব তৈরী করে থাকে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দ্বারা তৃতীয় পক্ষের জান-মালের দায়দায়িত্ব গাড়ির মালিককে বহন করতে হয়। তাছাড়া ব্যক্তিক পর্যায়ে ব্যবহার্য গাড়ি দ্বারা অন্যের ক্ষতি সংঘটন এবং ক্ষতিপুরণ প্রক্রিয়া/ ব্যবস্থা প্রায় সকল দেশেই রয়েছে। আর ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া/ ব্যবস্থার বিজ্ঞানসম্মত উপায় হচ্ছে বীমা।
বীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহক ও তৃতীয় পক্ষের ক্ষতিপুরণ সম্ভব। বর্তমানে আমাদের দেশে মোটর ভেহিক্যালের বিপরীতে কোন ধরনের বীমার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামুলক করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জান-মালের নিরাপত্তায় এবং জাতীয় অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভুমিকা রাখার প্রত্যয়ে, ব্যপক ঝুঁকি সম্মলিত Motor Comprehensive Insurance বাধ্য করা যেতে পারে। আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায়, Comprehensive  বীমা বাধ্য করা সময়োপযোগী না হলেও নিম্নরূপ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে-

 Motor Liability Insurance   বিআইএ কর্তৃক প্রস্তাবিত পরিকল্প বাধ্যতামুলক করা,
 পরিকল্পটির এ প্রিমিয়াম ও ক্ষতিপুরণের অংক বৃদ্ধি করা,
 ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা সহজীকিকরণ ও দ্রুত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা,
 আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল বিবেচনায় এনে Motor Comprehensive Package Insurance প্রবর্তন করা।

মোটর ভেহিক্যাল কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স পলিসিকে যুগোপযোগী করতে, ইতিমধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাব কমিটি’র সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা নিম্নরূপ-

সিদ্ধান্ত নং ১: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী Motor Vehicle Comprehensive Insurance ঐচ্ছিক থাকায় প্যাকেজটিকে আরও আকর্ষনীয় করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

সিদ্ধান্ত নং ২: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী Motor Third Party Liability বাদ দেয়ায় তা যুগোপযোগী করে পুনরায় সংযোজনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যপারে বিআইএ এ কর্তৃক Motor Liability Insurance পরিকল্পটি জন্য আইন পাস করতে হবে।

সিদ্ধান্ত নং ৩ : Motor Vehicle Insurance পলিসি গ্রাহকের নিরূপিত ক্ষতি দ্রুততার সাথে নিস্পত্তিতে বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ট্রাইবুন্যাল চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (Upto: June 2020) ২০ ধরনের মোটরচালিত যানবাহনের সংখ্যা=৪৪,৭১,৬২৫টি। তথ্যসূত্রঃ Bangladesh Road Transport Authority (BRTA). এর মধ্যে সংখ্যার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ Motor Cycle=২৯,৯১,৬১২টি।
 ২০১০ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত মোটরচালিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল = ১৪,৯৮,২৪৪টি। জানুয়ারী ২০১১ – জুন ২০২০ এর মধ্যে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা= ২৯,৭৩,৩৮১টি।

 ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর ৪ (চার) লক্ষ বা এর অধিক মোটরযান নিবন্ধিত হচ্ছে।

 The Accident Research Institute (ARI) of Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) – এর ২০২০ সালের গবেষণায় দেখা যায় যে, গত দুই দশকে ৫৮,২০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬,৯৮৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৮(আট) জন মানুষ রাস্তায় প্রাণ হারাচ্ছেন।

 এছাড়া আহত হয়েছেন আরো কয়েকগুণ মানুষ, আহত ব্যক্তিদেও মধ্যে অনেকেই হয়েছেন চিরতরে পঙ্গু।

 According to the Guardian, the country loses an estimated 1.2 billion pounds due to road traffic accidents per year, equivalent to 2% of GDP and all of the foreign aid that Bangladesh receives annually. According to UNICEF, roughly 38,000 children become orphans every year because of road fatalities.

তাছাড়া মোটর ইন্স্যুরেন্স’র মার্কেট পর্যালোচনা নিম্নরূপ-

 

In 2017, motor insurance gross premium was increased by 4.8% amounted to 361.63 BDT Crore. However, there was a drop in the growth rate of motor business compared to 4.80% (5.10% in 2016) growth rate recorded in 2016 because of the lack of supervision from a different agency. Motor sub-class recorded higher retention and in 2017 the rate was 94.36% of the gross premium Still motor insurance has not gained popularity because of unethical practice in commission payment, absence of modern demand-based insurance benefits plans and delaying process in claim

settlement. Authority is trying to address the premium structure of motor insurance

and to stop unethical business in this sector. Authority has already approved the reviewed various tariff rate in non-life business for increasing the insurance policy.

Increase in number of Motor Insurance policy:

Motor insurance business accounted for the largest number of policies from a single sub-class of general insurance business in the year 2017 and represented 67.21% of total policies (65.29 % in 2016) in the year 2017. The highest numbers of motor insurance policies were issued because the majority of those were third party insurance indicating that people tend to look for a minimum level of protection for a low premium to fulfil only the legal requirement.

Increase in GDP (Gross domestic product) Per Capita Income:

GDP per capita is a very important indicator of the economic strength of a country and a positive change is an indicator of economic growth. The per capita income of the country has increased in recent years and expected to continue. Rapid rises in GDP per capita usually indicate a higher level of development, causing many aspects of people’s lives to increase.

The report covers the major players operating in the Bangladesh Motor Insurance Market. The market is fragmented, the market is expected to grow during the forecast period due to the increase in year on year motor insurance policy or contracts and many other factors are driving the market.

তাই উপরোক্ত পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা অনুযায়ী মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্য করলে-

 বিপুল পরিমানে প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি পাবে ফলশ্রুতিতে বৃদ্ধি পাবে বীমা পেনিট্রেশন,
 প্রিমিয়াম বৃদ্ধির ফলে সরকারী কোষাগারে অর্থ জমার হারও বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ,
 তাছাড়া জনগনের জান-মালের সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে যা সভ্য সমাজের দায়বদ্ধতা রক্ষা করে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে যার জন্য বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বীমা একটি সমন্বিত অর্থব্যবস্থা, তাই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে সহায়তার লক্ষ্যে, উদীয়মান অর্থনীতির তালিকায় থাকা বাংলাদেশের মোটর ভেহিক্যাল ইন্স্যুরেন্স পরিকল্প/ পলিসি যুগোপযোগী করে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে মোটর ইন্স্যুরেন্সের বাধ্যবাধকতা প্রয়োজন।

এ কে এম মনিরুল হক

চেয়ারম্যান, নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।