বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x
অর্থনীতির কোভিড-উত্তর চ্যালেঞ্জ

বীমাখাত হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন

মো. নূর-উল-আলম   |   বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট   |   479 বার পঠিত

বীমাখাত হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন

প্রায় দু’বছরব্যাপী কোভিড-১৯ পৃথিবীজুড়ে বড় বড় অর্থনীতিগুলোতে অনেক বড় বড় রদবদল এনেছে। তাই সবাই কোভিড পরিস্থিতির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের স্ব স্ব অর্থনীতি। বাংলাদেশকেও কোভিড-উত্তর নিউ নরমাল অর্থনীতির পরিকল্পনা করতে হবে। দেশের অর্থনীতির প্রধানতম চ্যালেঞ্জগুলো হলো জাতীয় আয়ের জন্য এক বা একাধিক আয়ের খাত নির্ভরশীলতা, সম্পূর্ণ ব্যাংক নির্ভরশীল অর্থনীতি, অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা, জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কমিয়ে আনা এবং বিশাল কর্মক্ষম জনশক্তিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। উপরোক্ত সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বীমাখাত হতে পারে সেরা ফ্রন্টলাইন।

শক্তিশালী বীমাখাত শক্তিশালী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতি যোজন যোজন পিছিয়ে রয়েছে। বীমাখাতকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। কেননা এ বিশেষায়িত খাতে কাজ করতে প্রয়োজন বীমাবিষয়ক সাধারণ এবং বিশেষায়িত জ্ঞান। অথচ দেশের অর্থনীতির এমন গুরুত্বপূর্ণ খাতটি চলছে প্রায় অদক্ষ জনশক্তি দিয়ে।
বীমা চুক্তি এবং বীমা প্রিমিয়াম নির্ভর করে ‘বীমা যোগ্য বিষয়’-এর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ওপর। ‘বীমাদাবি’র ক্ষেত্রেও তাই। এ সকল তথ্য-উপাত্ত বা ডাটা বিশ্লেষণের কাজ করতে প্রয়োজন উক্ত বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ। তাইতো বিভিন্ন বীমা পলিসি বিক্রয়, বিক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় দরকার দক্ষ মানবসম্পদ। অধিকন্তু বীমা পলিসি বিপণন শৃঙ্খলে কিংবা বীমাদাবি প্রদান প্রক্রিয়ায় অথবা অপরাপর সকল বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থাপনার প্রত্যেক স্তরে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত জনশক্তি। অথচ দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটি চলছে অদক্ষ এবং অপর্যাপ্ত জনশক্তি দিয়ে। কোভিড-উত্তর নিউ নরমাল অর্থনীতির পরিকল্পনায় বীমাখাতকে তাই গুরুত্ব দিয়েই ভাবতে হবে।

যে কোনো দেশের অর্থনীতির অন্যতম তিন খাত হলোÑ ব্যাংক, বীমা এবং পুঁজিবাজার। আমাদের দেশে তৈরি পোশাকখাতের পরই বীমাখাত হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থান খাত। কিন্তু প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অনেক অপ্রতুল। ব্যাংক, বীমা এবং পুঁজিবাজারÑআর্থিক খাতের এ তিনটির মধ্যে বীমাই সবচেয়ে পিছিয়ে। শুধু পিছিয়ে আছে বললে কমই বলা হবে, বরং বলা উচিত অর্থনীতির আকারের তুলনায় অনেক পিছিয়ে এ খাত। ২০১৯ সালে জিডিপিতে এ খাতের অবদান ছিল মাত্র দশমিক ৪৯ শতাংশ। ২০২০ সালে তা আরো কমে দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সুইস রি-ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত সিগমা রিপোর্ট। বীমা প্রিমিয়ামে বাংলাদেশের মাথাপিছু ব্যয় সারা বিশ্বেই নিম্নতম। যথাযথ নীতি প্রণয়নের অভাবে খাতটি থেকে ভালো কিছু বের করে আনতে পারছে না বাংলাদেশ।
শুধু মাত্র প্রবাসী আয় এবং তৈরি পোশাকখাতের রফতানি আয় দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে তার ইপ্সিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব না। কেননা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। অথচ বিনিয়োগের বিকল্প খাত তৈরি না হওয়ার ফলশ্রুতিতে বিনিয়োগ বাড়ছে না, বাড়ছে না কর্মসংস্থানও। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে যোগ হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান প্রায় শত ভাগ পাসের হার। ফলে বাড়ছে পুঞ্জীভূত ব্যাপক বেকারত্ব।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার প্রায় ছিল ৪.৬ শতাংশ। সংখ্যার হিসাবে তা প্রায় ১.৩৮ কোটি। মনে রাখতে হবে এ পরিসংখ্যানে ছদ্ম বেকারত্বকে বিচেনায় নেয়া হয়নি। তা বিবেচনায় নিলে হারটি আরো বাড়বে।

উপরন্তু করোনা মহামারীর কারণে দেশে বিভিন্ন খাতে কর্মহীন হয়েছে অসংখ্য কর্মক্ষম মানুষ। সাধারণত দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ জনসংখ্যা কর্মবাজারে প্রবেশ করে। এর মধ্যে ৬ থেকে ৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয় বিদেশে। তবে করোনা মহামারীর কারণে দেশে বেকারত্বের হার আরো বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে স্বাভাবিক বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। করোনা ভাইরাসের কারণে সেটি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারীতে বিশ্বে ৬ জনের ১ জন বেকার হয়েছে, আর বাংলাদেশে বেকার হয়েছে চারজন যুবকের মধ্যে একজন, যা প্রায় ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। করোনায় কর্মহীন জনগোষ্ঠী নিয়ে গবেষণা করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। তার গবেষণায় দেখানো হয়, দেশে কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার মানুষ কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। শুধু লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়েছেন ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ২৭১ জন। অর্থাৎ মোট কর্মগোষ্ঠীর ৫৯ শতাংশ মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার হয়েছে সেবাখাতে। বীমাখাত সেবাখাতেরই একটা অংশ।

এখানে প্রাসঙ্গিক আরেকটি বিষয় বলার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বর্তমানে নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ড. বিরুপাক্ষ পাল ‘বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’-এর সাথে এক সাক্ষৎকারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডাটার মান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ব্যবহৃত তথ্য-উপাত্তকে পৃথিবীতে সবচাইতে মানহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন প্রতেক দেশই তথ্য-উপাত্তর সত্যতা এবং আর্ন্তজাতিক মান বজায় রাখতে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট ফিল্টারিং করে, যা বাংলাদেশ অনুসরণ করে না। তাই শুনতে অস্বস্তি লাগলেও বলতে হয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রদত্ত তথ্য-উপাত্ত পৃথিবীতে সবচাইতে মানহীন। আরো অনেক গবেষকও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য-উপাত্তর মান নিয়ে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন; বলছেন বেকারত্বর প্রকৃত সংখ্যাটি সন্দেহাতীতভাবে আরো অনেক বড় হবে।

অন্য একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশ এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যার দিক দিয়ে স্বর্ণযুগে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসের সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৬৮ শতাংশ জনসংখ্যা কর্মক্ষম, যা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জন বৈজ্ঞানিক মুনাফা হিসেবে পরিচিত। কোনো দেশে যদি ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ কর্মক্ষম থাকে, তাহলে সে দেশকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জন বৈজ্ঞানিক মুনাফা অবস্থায় আছে বলে গণ্য হয়।

জনসংখ্যার প্রায় ৭০ ভাগ কর্মক্ষম এ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে তো বটেই পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল ঘটনা। সঠিকভাবে কাজে না লাগালে এ সুবিধাজনক অবস্থা অচিরেই পরনির্ভরশীল জনসংখ্যার পরিমাণ বাড়িয়ে দেশের দায় হিসেবে আবির্ভূত হবে। দ্রুত ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করতে পারলে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বর কারণে অচিরেই বাংলাদেশের সকল অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তাই জাতীয় অর্থনীতির অন্যান্য চলক বা অনুঘটকগুলোর এক বা একাধিক অনুঘটককে ধাক্কা দেয়া এখন অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেই করোনা-উত্তর সংকট থেকে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। বীমাখাত হতে পারে কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনাময় একটি খাত। হতে পারে অর্থনৈতিক ঝুঁকি রোধের অন্যতম প্রধান মোক্ষম হাতিয়ারও। ২০২২ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে পৃথিবীতে ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অথচ আমাদের দেশের বীমাখাত বিশ্বে ৭৬তম বৃহত্তম এবং বীমাখাতে বাংলাদেশ তলানির দেশ হিসেবে গণ্য। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘বীমা ফাঁক’ প্রায় সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট জিডিপির ২.১ শতাংশ। এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। উপরন্তু অর্থনীতির আকার আরো বড় হলে উক্ত ‘বীমা ফাঁক’ আরো বেড়ে যাবে। তাই চরম বেকারত্ব এবং বর্ধনশীল অর্থনীতির প্রয়োজনে বাংলাদেশকে তার বীমাখাতের সংস্কার করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র এক শতাংশ বীমা অবদান বৃদ্ধি দুই শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি করে। এর কারণ এটি ২২ শতাংশ অবিমাজনিত ক্ষতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ-উত্তর কর অবদান হ্রাস ১৩ শতাংশ পর্যন্ত ঠেকিয়ে দিতে সহায়তা করে। বীমা অবদানের গাণিতিক বৃদ্ধি জিডিপি বৃদ্ধিকে জ্যামিতিকভাবে বৃদ্ধি ঘটাবে। বীমাশিল্প কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতেই অবদান রাখে না, বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক সংকটের সময় সরকারের আর্থিক চাপ হ্রাস করতেও সহায়তা করে।

লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম সেরা বীমা মার্কেট লয়েডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সাধারণ বীমাখাতে সবচেয়ে কম বীমাকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লয়েডের মতে, বাংলাদেশের এমন অবস্থার কারণ প্রতিবছর দেশটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তার জিডিপির দশমিক আট শতাংশ হারায়। লয়েড আরো বলেছে যে, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে বাংলাদেশ। অথচ এ বিষয়ে দেশটির কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়ছে না এবং ফান্ড রিকোভারি বা তহবিল পুনরুদ্ধার সামর্থ্যরে দিক থেকেও বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে। অতএব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অবীমাজনিত ক্ষতি হ্রাস করতে বাংলাদেশকে তার বীমাখাতের সংস্কার করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

উচ্চ কমিশনের বিনিময়ে প্রিমিয়াম সংগ্রহ, কম পুনঃবীমা, দেরিতে দাবি নিষ্পত্তি, জনশক্তির মান খুবই দুর্বল, পরিচালন দুর্বলতা, ব্যাংকারদের কমিশন বাণিজ্য, সার্ভেয়ারদের মনগড়া সার্ভে এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এ খাত অগ্রসর হতে পারছে না। মূলত, বর্ণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সরকারি নজরদারি এবং বীমাখাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ৩৩টি জীবন বীমা কোম্পানি এবং ৪৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি যথাক্রমে ৮ম বৃহত্তম জনসংখ্যা এবং ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির কোনো সুবিধাই নিতে পারছে না।

পরিশেষে বলা চলে, করোনা-পরবর্তী ব্যাপক বেকারত্বের লাগাম টেনে ধরতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অবীমাজনিত ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনতে এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশকে তার বীমাখাতের ব্যাপক সংস্কার করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রবাহ হিসেবে বীমাখাত ব্যাপক সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে প্রয়োজনীয় গতি পাবে না। এ খাতের জন্য তাই প্রয়োজন সুষ্ঠু মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন। তবেই অর্থনীতিতে গতিশীল তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রবাহ হিসেবে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে বীমাখাত।

 

 

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।