| শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 465 বার পঠিত
যে কোনো সময় হাজার হাজার মানুষ বীমা দাবির জন্য রাজপথে নামতে পারে, যা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠার দুইবছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
যে কোনো সময় হাজার হাজার মানুষ বীমা দাবির জন্য রাজপথে নামতে পারে, যা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। একইসঙ্গে দাবি পরিশোধে অক্ষম কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স প্রয়োজনে বাতিল করে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠার দুইবছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, আইডিআরএ এই বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া দাবি না পাওয়ায় প্রতিদিনই অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। ভয়ংকর ব্যাপার হলো দাবি না পেয়ে গ্রাহকরা থানায় মামলা করছে, আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে।
গ্রাহকের বকেয়া দাবি পরিশোধ না কলে বীমার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সাথে কথা বলেছি। ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমাতে বলেছি, প্রয়োজনে সম্পদ বিক্রি করে বীমা দাবি পরিশোধের কথা বলেছি। পর্যবেক্ষণ চলছে, কাজ না হলে আমরা আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগের চিন্তা করছি। প্রয়োজনে দাবি দিতে অক্ষম কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স বাতিলের চিন্তা করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্নখাতে এগিয়ে গেছে , কিন্তু বীমায় এগিয়ে যেতে পারেনি। বীমা দাবি পরিশোধের পরিমাণ বাড়লেও, প্রতিবছরই বীমা দাবি পরিশোধের হার কমছে। বিদায়ী ২০২২ সালে বীমা খাতে দাবি পরিশোধের হার ছিল ৬৬ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ৬৮ শতাংশ। প্রতি বছরই দাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি, এটি বীমা খাতের জন্য অশনি সংকেত।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, পলিসি বিক্রয়ের সময় আমার যে আশ্বাস দেই, দাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন না হলে বীমার প্রতি অনাস্থা বাড়বে।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, অনেক কোম্পানির দাবি পরিশোধের সক্ষমতা নেই। মাত্রারিক্ত ব্যয়, অলাভজনক অথবা মন্দ খাতে বিনিয়োগ, বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাত প্রভৃতি কারণে তারা দাবি পরিশোধ করতে পারছে না। অন্তত ১০ টি কোম্পানির অস্তিত্ব মারাত্মক সংকটের মুখে পড়েছে।
Posted ৫:১৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy