| বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 250 বার পঠিত
করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকই নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্যে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে অনেক দিন ধরেই। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ কমে আসতে শুরু করেছে। করোনার প্রকোপ কমে আসার কারণে বিশ^ব্যাপী অভ্যন্তরীণ ভোগ চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে। এই অবস্থায় বিশে^র বিভিন্ন দেশে ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মূলত এ কারণেই বিশ^ব্যাপী রপ্তানি পণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। রপ্তানি বৃদ্ধির এই প্রবণতা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে মোট ৪১৭ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। এর একমাস পরেই অর্থাৎ অক্টোবর মাসে মোট ৪৭২ কোটি মার্কিন ডলার সমতুল্য ৪০ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা আয় হয়েছে পণ্য রপ্তানি করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো একক মাসে এত বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয় হয়নি। বরাবরের মতোই রপ্তানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাকখাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ৪৭২ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৩৫৬ কোটি মার্কিন ডলার সমতুল্য ৩০ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা আসে তৈরি পোশাকখাত থেকে। এ নিয়ে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মোট রপ্তানি আয় হলো ১ হাজার ৫৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয়ের এই পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৬২শতাংশ বেশি। গত চার মাসে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক।
গত চার মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি মার্কিন ডলার সমতুল্য ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যার খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নিটওয়্যার খাত থেকে চার মাসে আয় হয়েছে ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার। এটা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। আর ওভেন খাত থেকে আয় হয়েছে ৫৪১ কোটি মার্কিন ডলার। এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশ।
রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাত বিশেষ অবদান রাখছে এটা অবশ্যই উল্লেখের দাবি রাখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তৈরি পোশাক খাত থেকে যে রপ্তানি আয় হয় তার একটি বড় অংশই কাঁচামাল ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে চলে যায়। কারণ এই খাতটি সম্পূর্ণরূপেই বিদেশি কাঁচামাল নির্ভর।
তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে যে আয় হয় তার মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর পণ্য রপ্তানির উপর জোর দিতে হবে। আর একটি মাত্র পণ্যের উপর অতি মাত্রায় নির্ভরতা কোনোভাবেই কাম্য পারে না।
Posted ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy