শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

বীমার অর্থনীতি পুনর্গঠন হবে বড় চ্যালেঞ্জ

  |   মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০   |   প্রিন্ট   |   493 বার পঠিত

বীমার অর্থনীতি পুনর্গঠন হবে বড় চ্যালেঞ্জ

সারা বিশ্বের মতো করোনায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। করোনার বিস্তার ঠেকাতে সরকার ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। হাতে গোনা কিছু শিল্পকারখানা ছাড়া বেশির ভাগেরই চাকা ঘুরছে না। কর্মহীন বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন গৃহবন্দী। এরই মধ্যে অর্থনীতিতে তার নানামুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে করোনায় অর্থনীতিতে কতটা ক্ষত তৈরি করবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও এ ক্ষত যে শিগগিরই কাটবে না, সে ব্যাপারে একমত অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। বীমা অর্থনীতির চাকা সচল করতে করণীয় কী-
করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর আগে থেকেই প্রবাসী আয় ভালো ছিল। এখন সেই প্রবাসী আয়ও চাপে পড়ে গেল। ইতিমধ্যে প্রবাসী আয় আসা কমে গেছে, অনেক শ্রমিক দেশে চলে আসছেন। যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই কাজ হারাবেন। কারণ, করোনার কারণে সব দেশেই মন্দা আসবে। ফলে অর্থনীতির সব সূচক আরও খারাপ হয়ে পড়বে। করোনার কারণে চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই সমস্যায় পড়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই, তাই তাঁরা বীমা কিনবেন কম। অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া কেউ কেনাকাটা করবে না। ফলে আমাদের যে রপ্তানি বাজার, তা আর স্বাভাবিক থাকবে না।

দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ আগে থেকেই বেশ ভালো ছিল। করোনার কারণে এখন সেটা আরও কমে যেতে পারে। ফলে কর্মসংস্থানে একটা বড় চাপ সৃষ্টি হবে, ইতিমধ্যে তা শুরু হয়ে গেছে। দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। অর্থাৎ মোট নিয়োগের ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের লভ্যাংশ কমে যাবে, অনেকে ব্যবসা ছোট করে আনবেন। ফলে অনেকেই চাকরি হারাবেন। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, করোনা আক্রান্ত সব দেশে পরিস্থিতি একই হবে।

করোনার কারণে বীমার অর্থনীতির যে বিপর্যয়, সেটি কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সারা পৃথিবীর দেশগুলোর তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যেতে পারে। আমরা অর্থনীতির চাকা যত দ্রুত সচল করতে পারব, ততই ভালো। এখানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুটো বিষয় রয়েছে। যারা বীমা কমিশন কাজ করেন তাঁদের সরাসরি অর্থ প্রদান করতে হবে, যাতে তাঁরা খাবার ছাড়া অন্য জিনিস কিনতে পারেন।কিছুটা চাঙা হবে।

আমি মনে করি, সরকার প্রণোদনা বীমা কোম্পানি গুলো দিলে তার একটা ইতিবাচক প্রভাব বীমাতে পড়বে।
সব মিলিয়ে আমাদের বীমার অর্থনীতির সামষ্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে। বীমার অর্থনীতির পুনর্গঠন হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখতে হবে, এটা সিডর বা আইলার মতো সমস্যা নয়, অনেক বড় সংকটে আমরা।এই সংকটকালে সবাইকে সঙ্গে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সাধারণ ছুটি শেষে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নিম্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারিঃ শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা। প্রতিদিন অতিরিক্ত এক ঘন্টা অফিস করা। শুধুমাত্র ঈদের দিন বন্ধ রাখা। কোন প্রকার ছুটি প্রদান না করা। যেমন সিএল, ইএল, মেডিকেল ইত্যাদি। অফিস ভাড়ার উপর ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করা। এজেন্ট কমিশনের উপর ট্যাক্স মওকুফ করা।
লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ করা। মুদ্রন সামগ্রী সরবরাহের উপর ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করা। স্ট্যাম্প ফী হ্রাস করা।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।