| রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 125 বার পঠিত
জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহ শুরু হয়েছে। ৫ মে থেকে শুরু হওয়া জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহ চলবে ১১ মে পর্যন্ত।
এবারের জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, সবাই মিলে সঞ্চয় করি,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি।’ জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় নানা কারণেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশের মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা এবং সামর্থ্য উভয়ই কম। বিশেষ করে দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দরিদ্র হবার কারণে তারা চাইলেই সঞ্চয় করতে পারেন না। তারা যা আয় করেন সংসারের নিত্য দিনের খরচ চালাতেই তা বয় হয়ে যায়। তাই তারা সঞ্জয় করতে পারেন না। আবার কিছু কিছু মানুষ আছেন যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ উপার্জন থাকলেও তারা তা ভোগ বিলাসে ব্যয় করেন। সঞ্চয়ের প্রবণতা তাদের খুবই কম। বাংলাদেশে পৃথিবীর সেই সব দেশের অন্যতম যাদের সঞ্চয় প্রবণতা কম। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেও মানুষকে সঞ্চয়মুখী করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহ পালন বিশেষ গুরুত্ববাহী।
সঞ্চয় সপ্তাহের নানা কার্যক্রম সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়ী হবার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সঞ্চয় মানুষের বিপদের দিনের বন্ধু। সঞ্চয় থাকলে মানুষ বিপদের দিনে আর্থিক কষ্টে পতিত হন না। সঞ্চয় শুধু যে ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, জাতীয় জীবনেও সঞ্চয়ের বহুমুখী তাৎপর্য রয়েছে। যদি একটি দেশের মানুষের সঞ্চয়ের হার এবং পরিমাণ বেশি হয় তাহলে সেই দেশকে উন্নয়ন অর্থায়নের জন্য কোনো চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু কোনো কারণে একটি দেশের সঞ্চয়ের হার এবং প্রবণতা কম হলে সেই দেশকে উন্নয়ন কাজে অর্থায়নের জন্য বিদেশিদের নিকট ধর্ণা দিতে হয়। এটা কে না জানে যে অর্থায়নের জন্য বিদেশিদের নিকট ধর্ণা দেবার মতো লজ্জাজনক আর কিছু নেই। বিদেশিদের নিকট থেকে ঋণ বা অর্থ ধার করলে তার জন্য শুধু যে লাভসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হয় তাই নয় তাদের দেয়া বিভিন্ন আপত্তিকর শর্তও পালন করতে হয়। এসব শর্ত একটি দেশের জন্য আত্মমর্যাদাহানীকর।
তাই প্রত্যেক দেশেরই উচিত কিভাবে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ সামর্থ্য বাড়ানো যায় তার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশে পণ্য মূল্যস্ফীতি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের বেতন-ভাতা বা আয় রোজগার সেভাবে বাড়ছে না। ফলে যে অর্থ তারা বিভিন্নভাবে আয় করে তার প্রায় পুরোটাই সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য চলে যায়।
Posted ২:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy